আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আড়াইহাজারে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে সমিতি লাপাত্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের একটি সমবায় সমিতি গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। জীবনের সব টুকু জমানো টাকা হারিয়ে হাজারো গ্রাহক পথে বসার উপক্রম হয়েছে। কারো চোখে ঘুম নেই। চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়েছে। কোথায়ও গিয়ে সহযোগিতা পাচ্ছে না। এতে করে আরো হতাশ হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগীরা। এই ঘটনায় গতকাল সোমবার ভুক্তভোগীরা থানায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সোমবার অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার বাদী ও ভুক্তভোগি সেলিনা আক্তার বেবী জানান, গত ১৪ অক্টোবর ২০০৮ সালে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দী গ্রামের জব্বার হাজীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম তার নিজস্ব কিছু লোকজন নিয়ে তাদের নিজ বাড়ীতে গনপ্রত্যাশা সমিতির নামে একটি অফিস খুলে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে তাদের গ্রাহক সংখ্যা হয়ে যায় ২ হাজার ১ শ জন। তারা প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে ৩ লাখ থেকে শুরু করে ১২-১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সমিতিতে জমা রাখেন। এর মধ্যে তার নিজের রয়েছে ৬ লাখ টাকা। আয়শা আক্তার বিউটির রয়েছে ৮ লাখ টাকা। তিনি আরো জানান, এমনি ভাবে ওই সমিতিতে ২ হাজার ১শ গ্রাহকের সমস্ত টাকা জমা রয়েছে। গ্রাহকদেরকে প্রতি লাখে মাসিক ৩ হাজার টাকা করে লাভ দেওয়ার ও কথা রয়েছে। এমতাবস্থায় করোনার শুরু হওয়ার পর থেকেই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সুফিয়া বেগম, প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ফজলুল হক ওরফে ফজুল্লাহ, ম্যানেজার সফিউল্লাহ সুমন, সচিব ও পরিচালক মুক্তি আক্তার এবং ক্যাশিয়ার রাশেদ রাজন অফিস টি গুটিয়ে নেয়ার প্রকৃয়া শুরু করেন। কিন্তু তারা বিষয়টি বুঝে উঠার আগেই অফিস কর্তৃপক্ষ ৩০ অক্টোবরের মধ্যে অফিসে সব কিছু অগোছালো ভাবে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। তাদের সকল মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় সমিতির ২ হাজার ১ শ সদস্যের মাথায় হাত পড়েছে । কোন ভাবেই অফিস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ভুক্ত ভোগি সেলিনা আক্তার বেবী, সাদিয়া আক্তারসহ একাধিক সদস্য জানান, কর্তৃপক্ষের সব গুলো লোকই কালাপাহাড়িয়ার ইউনিয়নের বাসিন্দা । কর্তৃপক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তারা এখন পথে বসেছেন। ৩০ অক্টোবর থেকে অফিস বন্ধ থাকলেও মূলত তারা ২/৩ দিন আগে বিষয়টি টের পান। ফলে তারা থানায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। এই ব্যাপারে উপজেলা সমবায় অফিসার নাহিদা নাছরিন বলেন, আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম ইসলাম বলেন ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তাদের কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সোহাগ হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে অভিযুক্তদের সকল মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ