আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আট হাজার কোটি টাকার ‘তালাক’!

একটি দম্পতির একে অপরের সঙ্গে মনের বা মতের অমিল হলেই তালাক। তালাক মানেই বিচ্ছেদ। কিন্তু তা যদি হয় অস্বাভাবিক মূল্যে! এমনই এক তালাকের ঘটনা ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার খনি ব্যবসায়ী হ্যারল্ড হ্যাম পঞ্চাশ বছরের জীবনে যা কিছু করেছেন তার সবটাই বৃহদাকারের। কন্টিনেন্টাল রিসোর্সেস-এর প্রধান নির্বাহী হ্যারল্ড ওই কোম্পানির বেশিরভাগ শেয়ারের মালিক। নর্থ ড্যাকোটায় বিশ্বের বৃহত্তম তেল খনির আবিষ্কারক তিনি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮’ শ কোটি ডলার। ফোর্বসের হিসেবে তিনি আমেরিকার ২৪তম শীর্ষ ধনী।

হলে কি হবে স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। তাই তালাকের পথ বেছে নিতে হয়েছিল তাকে। নয় সপ্তাহ গোপনে বিচার চলার পর ওকলাহোমা শহরের একজন বিচারক রায় দিয়েছেন যে সাবেক স্ত্রী সুই অ্যান হ্যামকে তালাক দেয়ার জন্য তাকে অবশ্যই ১’ শ কোটি ডলার বা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। এভাবেই তার নামের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরো একটি বিশেষণ। বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদের মালিক হবেন তিনি। অন্যদিকে তার স্ত্রী তালাকের অর্থ পেলে সুই অ্যান আমেরিকার সেরা ধনী নারীর খেতাব পেইয়ে যাবেন।

আদালতের রায়ে বলা হইয়েছিল, চলতি বছরের শেষেই সাবেক স্ত্রীকে ৩২ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে হ্যারল্ডকে। এরপর বাকি অর্থ প্রতি মাসে ৭০ লাখ ডলার করে শোধ করতে হবে। এছাড়া কন্টিনেন্টাল রিসোর্সের ২০ লাখ শেয়ারও (১’শ কোটি ডলার) সুই অ্যানকে দিতে হবে।

এর আগে রাশিয়ার ‘ফার্টিলাইজার কিং’ হিসেবে খ্যাত দিমিত্রি রিভলভলেভ তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পরিশোধ করেছিলেন ৪৮০ কোটি ডলার। মামলা শুরুর পর ইতোমধ্যেই সুই অ্যানকে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছেন হ্যারল্ড। ১৯৮৮ সালে সুই অ্যান হ্যামকে যখন দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলেছিলেন তখন হ্যারল্ড ছিলেন মধ্যবিত্ত। কিন্তু এখন তার অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ