আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাংলাদেশের ব্যাংকিং

অর্থনৈতিক উন্নয়ন

অর্থনৈতিক উন্নয়ন
মো: আলমগীর হোসাইন: একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকিং খাতের গুরুত্বঅপরিসীম।আর বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেখেছে বিরাট অবদান।অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের পথে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। নানা সংকটের মধ্যেও এই অগ্রযাত্রায় বড় ভূমিকা রেখেছে ব্যাংক খাত। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো মিলে দেশের শিল্পায়নে প্রায় সাত লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুশাসনের অভাব থাকলেও নানা ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে এই খাতটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে বিপুল সমুদ্রাঞ্চল জয় করেছে। এর ফলে সমুদ্র অর্থনীতি বা ব্লুইকোনমির এক অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে ব্যাংক খাতের যে অবদান, তার ৭০ শতাংশই বেসরকারি ব্যাংকের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকিং খাতের কার্যক্রমের ক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটছে। নীতিগত পরিবর্তনের ফলে অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে। এগুলো মোকাবিলা করেই এগোতে হচ্ছে খাতটিকে। দেশেরঅর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের পথে ব্যাংক খাত নিবিড়ভাবেকাজ করছে। শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তবে পরিকল্পিতভাবে শিল্পায়ন হচ্ছে না। সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমে (সিএসআর) ব্যাংকগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করা দরকার।বাংলাদেশের মধ্যে এখন সফল একটি উদ্যোক্তা গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গেছে। তাঁদের সাফল্য অন্যের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। তাই সে সব সফল উদ্যোক্তার সাফল্য গাথাকে সবার সামনে তুলে ধরা দরকার।ব্যাংক খাত চলে আস্থার ওপর। এতে যেন সংকট তৈরি না হয়, সেটিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

দেশের স্বার্থে ব্যাংক খাতের ওপর জনগণের আস্থার সম্পর্কে যেন কোন ধরনের চিড় না ধরে, সে জন্য সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আর এই সেক্টরে যাতে অনাকাঙ্খিত কোন দূর্ঘটনা না ঘটে সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারকে আরো মনযোগী হতে হবে।

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ