আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অপেক্ষা বাড়লো বিএনপিতে

বিশেষ প্রতিবেদক

ফের অজুহাত দিয়ে পিছিয়ে গেলো নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি। নতুন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও ১ মাস স্থগিত করেছে কেন্দ্র। নতুন কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের আগ্রহ থাকলেও নতুন করে সময়কাল বাড়ায় হতাশা জন্মেছে তাদের মাঝে। তাদের অভিযোগ, অতীতের মতো বাণিজ্য করার আশায় রয়েছে কেন্দ্রের কতিপয় নেতা। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ছোট ছোট দোকান খুলে বসে থাকা ওই নেতারা নিজের লাভ না গুনে পদ দেয় না।

প্রায় ৪ মাস ধরে কেন্দ্রীয় ভাবেই বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে এই সময়ে নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে ঝুঁকেছেন নেতৃবৃন্দ। কিন্তু জেলা বিএনপির কমিটি তারও আগ থেকে বিলুপ্ত করা হয়েছে। সাংগঠনিক ভাবে ৯০ দিনের ভেতর কমিটি পূর্নগঠনের নির্দেশনা থাকলেও সেসব কখনই মানার জন্য তেমন আগ্রহ দেখতে পাওয়া যায়না দলটির ভেতর। নিজেদের খেয়াল খুশিমত কমিটি পরিচালনার এমন রেওয়াজের কারনেই দীর্ঘ হয়েছে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া এমনটিই ভাবছেন তৃণমূলের কর্মীরা।

শুধুমাত্র করোনার কারনেই যে থমকে আছে জেলা বিএনপির কমিটি তাও সত্য নয়। কারন দলটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী নিজেই সংবাদচর্চাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, কবে নাগাদ কমিটি গঠিত হবে তা তিনি নিজেও জানেন না। বিশেষ করে করোনার মাঝে এই সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা একেবারেই সম্ভব নয়। করোনার পরে এ বিষয়গুলো নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পূর্বে সোনারগাঁ বিএনপির এক নেতা জেলা কমিটির গুরুত্ব পূর্ন পদ পেতে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে বিএনপিতে। এনিয়ে আলোচনা সমালোচনার মাঝেই হারিয়ে যায় গুঞ্জন। গত ২১ ফেব্রæয়ারি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করার পর উপজেলা ও পৌর কমিটি পরিচালনার দায়িত্ব নেয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা। কিন্তু ৫ মাসেও বিন্দুমাত্র অগ্রগতি দেখাতে পারেননি তারা। ফলে জেলা কমিটির নির্দেশে যারা এতদিন উপজেলা গুলোতে কাজ করে আসছিলেন সেসবও বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় নেতার এমন বক্তব্যের পর কবে নাগাদ জেলা কমিটি গঠিত হবে তা অনিশ্চয়তার জালেই রয়ে গেল।

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দলের সক্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে কমিটি গুলোর দ্রæত পূর্নগঠন ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই। নতুন করে সময় সাংগঠনিক কার্যক্রমের সময় বাড়ানোয় চিন্তার ভাজ বেড়েছে দলে। বিএনপি নেতাদের আয়েশী জীবন এভাবেই চলতে থাকলে ভবিষ্যত দলের জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত বয়ে আসবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ