নিজস্ব প্রতিবেদক:
সোনারগাঁয়ে এক গার্মেন্টস কর্মী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে । সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ব্রক্ষনবাওগাঁ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় গার্মেন্টস কর্মী বাদি হয়ে সোমবার রাতে সোনারগাঁ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ ধর্ষককে আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলেন,জামপুর ব্রক্ষ্মনবাওগাঁও গ্রামের মোঃ মুজিবুর রহমানের ছেলে আবু সাঈদ (২৫), মোঃ রেহাজ উদ্দিনের ছেলে ইমরান (২৩), নবী হোসেনের ছেলে রনি মিয়া (২০), আবু সিদ্দিক মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন (৩২), বাগবাড়িয়া গ্রামের ভুট্রো মিয়ার ছেলে মাসুদ (২২)। এছাড়া ব্রক্ষ্মনবাওগাঁও গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে আরিফ (১৯) ও মৃত সামসুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৮) পলাতক রয়েছে।
এজাহারে জানাযায়,উপজেলার রূপগঞ্জ রবিন টেক্স গার্মেন্ট থেকে ছুটি শেষে তার বাড়ি গাউছিয়া উদ্দেশ্যে একটি অজ্ঞাত সিএনজিতে উঠে। সেখানে দেখতে পাই জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তি সিএনজিটির পিছনের সিটে বসে আসে। পরে সে গাউছিয়া আসার পর সিএনজিটি থেকে নামতে বললে কার সাথে বসা জাহাঙ্গীর চালককে বাঁধা দেয় এবং গার্মেন্ট কর্মীর মুখে স্কচটেপ পেচিয়ে সিএনজিটিক সোনারগাঁয়ের তালতলা এলাকার দিকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার ৭টার দিকে সিএনজিটি ব্রক্ষনবাওগাঁ এলাকার জৈনিক হালিম মিয়ার একটি দোচালা ঘরে নিয়ে যায়। ঘরে প্রবেশ করে দেখে আবু সাইদ ও আরিফ নামের ২ ধর্ষক আগে থেকে সেখানে অবস্থান করছে। পরে গার্মেন্ট কর্মীকে প্রথমে আবু সাঈদ জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরে একে একে ৭জন মিলে তাকে গণধর্ষন করে।
এদিকে, রাত ৩টার দিকে হালিম মিয়া বাড়িতে এসে এ ঘটনা দেখার পর মেয়েটিকে ছেড়ে দিতে ধর্ষকদের অনুরোধ করে। কিন্ত ধর্ষকরা গার্মেন্টকর্মীকে ছাড়তে রাজি না হওয়ায় হালিম মিয়ার আশপাশের লোকজনের সহায়তায় তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সেখান থেকে ধর্ষিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদি হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান সংবাদচর্চাকে জানান, গার্মেন্টস কর্মীকে গণর্ধষণ করা হয়েছে। ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আমরা ৫ জন আসামী গ্রেফতার করছি। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আগামী কাল( বুধবার ) আসামীদের চালান করে দেয়া হবে।