সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ
রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা সমানতালে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তরুণ উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় এবার ভোটের মাঠে ৯ নং ওয়ার্ডে ভিন্ন মাত্রা দেখা দিবে বলে মনে করেন ভোটাররা।
জানা গেছে, আগামী ১৪ অক্টোবর রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী সালাউদ্দিন ভূঁইয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন।
অপরদিকে ওয়ার্ড মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নিয়ে ব্যাপক সরগরম রয়েছে। ৯ নং ওয়ার্র্ডে তিনজন প্রার্থী এবার লড়াই করছেন। এর মধ্যে বর্তমান মেম্বার জাকির হোসেন, আওলাদ হোসেন ও তরুণ প্রার্থী মিজানুর রহমান রানা।
স্থানীয় ভোটাররা বলেন, ৯ নং ওয়ার্ডটি রূপগঞ্জ থানা ও সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের আওতাভুক্ত হওয়ায় এ ওয়ার্ডের গুরুত্ব অনেক বেশি। সবার চোখ থাকে এ ওয়ার্ডের দিকেই। তরুণ, সৎ, সাহসী প্রার্থীকে এবার মানুষ ভোট দিবে। আগের আমলের মেম্বাররা প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি। তাই তারা এবার তরুন ও শিক্ষিত প্রার্থীকে ভোট দিবেন বলে মনস্থির করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আটর্স বাংলাদেশ থেকে মিডিয়া স্টাডিজ এন্ড জার্নালিজমে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা এ তরুণ রাজনীতিবিদ পেশায় দেশের প্রথম সারির একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। মিজানুর রহমান রানার পিতা ফয়েজুর রহমান ফয়েজ ৮০’র দশক থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।
স্থানীয়দের দাবী মিজান মেম্বার হলে এলাকার সাধারণ মানুষের উপকার হবে। ভদ্র, নম্র, শিক্ষিত ছেলে হওয়ায় সবার নজর ওর দিকেই।
প্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, যদি আমাকে সবার ভাল মনে হয় তবে একটি ভোট ভিক্ষা চাই। আর আমাকে যদি খারাপ মনে হয় ভোট চাইনা। আমি অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করবোনা। কে ভাল, কে খারাপ সেটাও বলতে চাইনা। সে বিচারও ভোটারদের কাছে। আমি জয়লাভ করলে নারী ও তরুণদের পাশে দাঁড়াবো। অসহায়-দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করবো। মাদক, অনিয়ম ও দুর্ণীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ষোষণা করবো। অনেক কাজ বাকী রয়ে গেছে, তা-শেষ করবো। কথায় নয় আমি কাজে বিশ্বাসী।