নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার লাঙলের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সহ কয়েক লাখ সাধারন ভোটার লাঙলে ভোট দেয়ার অপেক্ষায় আছেন।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোয় সিংহের কাধে চড়ে সোনারগাঁ বিজয়ের স্বপ্নে বিভোর ধানের শীষের কর্মী সমর্থকরা চরম হতাশায় পড়েছেন।
জানা যায়, নানা নাটকীয়তার পর শুক্রবার রাতে সিংহ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার নির্বাচন থেকে সড়ে গিয়ে তার কর্মী-সমর্থকদের লাঙলে ভোট দেয়ার আহবান জানিয়েছেন।
ফলে তার কর্মী-সমর্থকরা সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং কয়েক লাখ সাধারন ভোটার ৩০ ডিসেম্বর রবিবার লাঙলে ভোট দেয়ার অপেক্ষায় আছেন। এদিকে আব্দুল্লাহ আল কায়সার নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোয় সিংহের কাঁধে চড়ে ধানের শীষের সোনারগাঁ বিজয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে। এতে ঐক্য ফ্রন্টের মনোনীত বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার কর্মী সমর্থকরা চরম হতাশায় পড়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোট ভাগাভাগির কারনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান। ঠিক একইভাবে এবারের সংসদ নির্বাচনেও মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার পাশাপাশি মাঠে ছিলেন সিংহ প্রতীকের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার। এই দুই প্রার্থীর ভোট ভাগাভাগির সুযোগে এবারো বিজয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন ধানের শীষের মান্নানপন্থীরা। কিন্তু শুক্রবার রাতে আব্দুল্লাহ আল কায়সার নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোয় মান্নানপন্থীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
এছাড়া প্রতীক বরাদ্ধের পর আজহারুল ইসলাম মান্নানপন্থীরা গোটা উপজেলায় ধানের শীষের গণসংযোগ শুরু করেছিলেন। কিন্তু পরে গ্রেফতার আতঙ্কে তারা এলাকা ছাড়া হওয়ায় ধানের শীষে আর দোলা লাগছে না।