সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ডের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ২ বছর পেরিয়ে গেছে। উন্নয়নের নামে বেড়েছে কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের রাজত্ব। ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, হকারদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, সড়কের জায়গায় দোকানপাট নির্মানসহ বহু অপকর্মের হোতাদের শেল্টারদাতা তিনি।
এক সময় তিনি নিজে এসব কাজে লিপ্ত থাকলেও এখন আর নিজে করছেন না। এখন তিনি এসব কাজের জন্য পালিত সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। মামলা হয়েছে ডজন খানেক। গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত কয়েকবার। পলাতক ছিলেন দীর্ঘ ২ বছর। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো তিনি ৭ খুন মামলার প্রধান আসামী নুর হোসেনের ভাতিজা।
গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এ ওয়ার্ডে মোট ৩ জন প্রার্থী ছিল। নির্বাচনের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও সার্বিক দিক বিবেচনায় ওয়ার্ডটিতে তেমন কোন পরিবর্তন আসে নি। তবে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভি মাদানী নগর থেকে ৫ কি.মি. রাস্তার কাজের উদ্বোধন করেন। তারপরও হাজারও সমস্যায় জর্জরিত ওই এলাকার সাধারণ জনগন। ওয়ার্ডটিতে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন শাহজালাল বাদল। তিনি ঠেলাগাড়ি মার্কায় নির্বাচন করেছিলেন। ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন বক্তব্য দেননি। তিনি নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নুর হোসেনের ভাতিজা। ৭ খুনের পর দীর্ঘ দেড় বছর পলাতক থাকার পর ফিরে এসে আটঘাট বেধে মাঠে নেমেছে। নুর হোসেনের দখলে থাকা সবকিছুই তার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। অপর প্রার্থী তোফায়েল হোসেন। তিনি ঘুড়ি মার্কায় প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন। তিনি যুবলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন। সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় তার বসবাস। একটি প্রভাবশালী মহলের ছায়ায় তিনি স্থানীয় কয়েকটি গার্মেন্টের তদারকি করে থাকেন। তবে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও আওয়ামী লীগের কোন পদপদবী তিনি পাননি। আলমগীর লাটিম মার্কায় নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছিলেন।
তিনি বর্তমানে ট্রাক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত রয়েছেন। ব্যবসা ছাড়া জনকল্যানমূলক কোন কাজের সাথে তাকে সম্পৃক্ত হতে তেমন একটা দেখা যায় না। একই এলাকার ডাকাত আলমগীরের সাথে তার নামের মিল থাকার কারনে প্রায়ই তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির শিকার হতে হয়
। প্রার্থীদের বিষয়ে সূত্র জানায়, অপরদিকে কাউন্সিলরের প্রতি সাধারন জনগনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তার প্রতি ৭ খুনের পলাতক আসামী হিসেবে ক্ষোভ রয়েছে। প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন কারনে সমালোচিত তিনি।