আজ বুধবার, ১৩ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে লিটন-রাজু বাহিনীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাজু ও ৩ নং ওয়ার্ড বিলুপ্ত শ্রমিক লীগের সদস্য লিটন বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফাঁকা জায়গাতে মটর চালক লীগের কার্যালয় নির্মাণের ঘটনায় রাজু বাধা দিলে এমন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।

জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৩ নং ওয়ার্ডের লিটন বাহিনী নিয়ে মটর চালক লীগের কার্যালয় বানাতে বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে আসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠে। এ সময় রেন্ট কার পরিচালনাকারী রাজু আহমেদ তার বাহিনী নিয়ে তাদের বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সোহেল এসে উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রনে আনেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সোহেল বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকেই পাই নি। আমাদের দেখে সকলেই পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি বাঁশ উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাজু আহমেদ কয়েকজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শিমরাইল মোড়ের অবৈধ ট্যাক্সি পরিবহন (রেন্ট এ কার) নিয়ন্ত্রন করেন। যেখান থেকে তিনি প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা আদায় করেন। এছাড়া শিমরাইল মোড়ে তিনি অন্তত হকারদের ২০ দোকান থেকে চাঁদা আদায় করেন। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথের টেন্ডারবাজিসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রন করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরও বহু অভিযোগ।

জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, লিটন একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে মহাসড়কে চাঁদাবাজি করে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সে এলাকায় ফিরে এসে সরকারি জমি দখলের চেষ্টা করলে আমি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ফোন করে অবগত করি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ এসে তাকে উচ্ছেদ করে।

এদিকে লিটনের বিষয়ে জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য হিসেবে বহু দিন রাজনীতি করেছেন। ওই কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ বেপারী কমিটিটি মৌখিকভাবে বিলুপ্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন। তাকে বেশ কয়েক মাস এলাকায় দেখা না গেলেও হঠাৎ করেই তার আবির্ভাব হয়েছে। তিনি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল বলে পুলিশের সূত্র বলছে বর্তমানে সে মাদক থেকে দূরে রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লিটন মিয়া বলেন, আমরা মটর চালক লীগের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির কার্যালয় নির্মাণের জন্য রেন্ট এ কারের মাঠে গিয়েছি। সেখানে চাঁদাবাজ, অবৈধ রেন্ট এ কার পরিচালনাকারী ও সিএমবির ঠিকাদারদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই নুর হোসেনের প্রধান সহযোগী ও ৭ খুন মামলার আসামী রাজু আমাদের বাধা দেয়। আমি তাদের আচরনে ক্ষুব্দ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন শাহ পারভেজ বলেন, সড়কে সম্প্রতি উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাই আমরা কাউকেই কোন স্থাপনা নির্মান করতে দিচ্ছি না। ওই স্থানে আরও দুটি দোকান রয়েছে বলে জেনেছি। একটি চায়ের দোকান। আরেকটি জুতার দোকান। ওই দোকান দুটিও উচ্ছেদ করা হবে। আমার কাছে সকলেই সমান।