আজ বৃহস্পতিবার, ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহবধু আলো হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন পালিত

সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহবধু আলো

সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহবধু আলো

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নেশাগ্রস্থ স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনায় ঘাতকদের বিচারের দাবীতে মানব বন্ধন পালন করেছে নিহত গৃহবধু আলোর স্বজন ও এলাকাবাসী।

শুক্রবার বেলা ৩টায় নাসিক ৮নং ওয়ার্ডের চৌধুরিবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধনটি পালিত হয়। মানববন্ধনে নিহত আলোর স্বজন,এলাকাবাসী, মানবাধীকার সংস্থার নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল শান্তিনগর এলাকা হতে শুরু হয়ে চৌধুরিবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এসে শেষ হয়।

পরে চৌধুরিবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে মানবন্ধন পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা নিহত গৃহবধু আলোর নৃশংস হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন। আসামীদের যেনো সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় তারও দাবী জানানো হয়।

এছাড়া এজাহারভুক্ত আরো দুজন পলাতক আসামী নিহত আলোর শশুর বাবুল এবং দেবর মুন্নাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার টিটুর প্রতি জোরালো আহ্বান জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে এলাকাবাসীদের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জাতীয়পার্টির সভাপতি কাজী মহসিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এড. শাহিদুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এম. আর হায়দার রানা, সহ-সভাপতি মীর সৈয়দ আহমেদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মহসিন আহমেদ, নিহত আলোর মামা আদর এবং সাগরসহ স্থানীয়রা।

উল্লেখ্য গত আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল চৌধুরিবাড়ি শান্তিনগর এলাকায় যৌতুকের টাকার জন্য গৃহবধু আলোর নেশাগ্রস্থ স্বামী জনী ঘুরির নাটাই দিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে আলোকে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই রাতেই এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ঘাতক স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এবং লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে শুক্রবার বিকালে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আলোর শাশুড়ি বেবীকেও আটক করে পুলিশ।

এদিকে ওই ঘটনার পর শুক্রবার রাতে নিহত আলোর মামা আদর বাদী হয়ে নিহত আলোর স্বামী জনী, শাশুড়ি বেবী, শশুর বাবুল এবং দেবর মুন্নাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার দুজন আসামীকে আটক থাকলেও বাকী দুজন আসামী আলোর শশুর এবং দেবর মুন্নাকে এখনোও আটক করতে পারেনি পুলিশ।