আজ শনিবার, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জ ইপিজেডে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের কুংতন এ্যাপারেলস লিমিটেডের সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে কয়েক জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ৭ই জানুয়ারি সকাল ৬টায় প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে।

শ্রমিকদের অভিযোগ শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানের এক পর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে বেপজার পুলিশ শ্রমিকদের এলোপাথারীভাবে লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন মহিলা গার্মেন্টস শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছে। এরমধ্যে দুইজন শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এদিকে পুলিশের লাঠিপেটার প্রতিবাদে শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-চিটাগাংরোড সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ হয়ে যায়।দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় সড়কের উভয় দিকে।

বেলা ২টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও ইন্ড্রাটিয়াল পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত এক শ্রমিক জানান, গত মার্চ মাসে ২৫ তারিখ থেকে এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে পর্যন্ত বন্ধ থাকলেও খোলার পরে আমাদের ন্যায বেতন বুঝিয়ে দেয় নাই।

পরে শ্রমিকরা বলেন, য়ে বেপজার লেআফ আনুযায়ী গার্মেন্টস বন্ধ থাকবে ১ মাস ১৫ দিন,কিন্তু বেপজার কতৃপক্ষেকে ম্যানেজ করে কুংতন গার্মেনন্টস বন্ধ রাখে ৪ মাস ৭ দিন।

তারা আরও বলেন, চলতি মাসের ৭ তারিখে আমাদের সমুদয় পাওনা বুজিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা বেতন দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন বলে পরে দিবে কবে দিবে এমন কোন কোন সিদ্বান্ত দেয়নি এই কারনে আমরা আদমজী সড়ক অবরোধ করি।

ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পুলিশ-৪ এর এসপি আইনুল হক ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শরিফ শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, মালিকপক্ষের সাথে তাদের কথা হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছে আপনারা আন্দোলন বন্ধ করে সড়ক ছেড়ে দেন।

এসময় শ্রমিকরা বলেন আমাদের উপর বেপজার পুলিশ শুধু হামলা করেছে। আমাদের অনেক শ্রমিক আহত হয়েছে। তখন পুলিশ বলেন আপনারা থানায় আসে অভিযোগ দেন। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দেন।এ