নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ্ নিজাম বলেছেন, আমাদের দেশের বিজয় দিবস কিংবা স্বাধীনতা দিবসে সারাদেশের মানুষ পূষ্পার্ঘ্য অর্পন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। কিন্তু শহীদদের স্মরণে ড. ইউনুস’রা পূষ্পার্ঘ্য অর্পন করেনা। কারণ, ওরা এ দেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করেনা। তারা ঘরে বসে একের পর এক ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। আজকে বিশ্বের বিশিষ্টজনরা যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে স্যালুট দিচ্ছে, যেখানে আমাদের দেশের কিছু মানুষ তাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
মঙ্গলবার (০৭ আগষ্ট) বিকালে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ১১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ শোক সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় নিজাম শামীম ওসমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি শামীম ওসমানকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ, ওনি সারা বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিকে উচ্চ পর্যায়ে রেখেছেন। শামীম ওসমান আগেই বলেছেন, দেশে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। উন্নত দেশকে ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আজকে কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রই আমরা দেখতে পাচ্ছি। সকল বাধা বিপত্তি ও ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়েই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে শামীম ওসমান কাজ করে যাচ্ছে। যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আমরা শামীম ওসমানের সাথে ছিলাম আছি, এবং থাকবো।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতায় মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল বলেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস মানে আওয়ামীলীগের ইতিহাস, ছাত্রলীগের ইতিহাস মানে ৫২’র ইতিহাস, ছাত্রলীগের ইতিহাস মানে ৭১’র স্বাধীনতার ইতিহাস আর ছাত্রলীগের ইতিহাস মানে বাংলাদেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস। জননেতা শামীম ওসমানের দিকনির্দেশনায় নারায়ণগঞ্জের ছাত্রলীগ দেশের যে কোন ক্রান্তিলগ্নে মাঠে ছিলো এবং থাকবে।
শোক সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগরে সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর ইসরাত জাহান স্মৃতি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো: জুয়েল হোসেন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি, সহ সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম রিয়াদ, সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আতিকুর ইসলাম নান্নু প্রমূখ।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদের সভাপতিত্বে শোক সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু প্রমূখ।