সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জের বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে অগ্নিকাণ্ডে বেশ কিছু ধর্মীয় গ্রন্থ পুড়ে গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (এনসিসি) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদনগর এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
বইয়ের তাকের আশেপাশে কোন বৈদ্যুতিক সংযোগ কিংবা তার না থাকায় অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে রহস্যের তৈরি হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে পুলিশ বা স্থানীয়রা কেউই নিশ্চিতভাবে কেউ কিছুই বলতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ধটনার প্রত্যক্ষদর্শী হৃদয় বলেন, আমরা কয়েকজন মসজিদের নিচতলায় এশার নামাজের জামাতে শরীক হওয়ার জন্য অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ দ্বিতীয় তলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখতে পেয়ে সেখানে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি কোরআন শরীফ রাখা একটি আলমিরাতে আগুন জ্বলছে। পরে আমরা কয়েকজন মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর কবির হোসাইন বলেন, আমি কার্যালয়ে থাকাবস্থায় মসজিদে আগুনের খবর পাই। ঘটনা শুনে যা বুঝলাম তাতে কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আগুন লাগিয়েছে বলে ধারণা করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন বলেন, গত বেশ কয়েক মাস আগে এই মসজিদে সাউন্ড বক্স ও মাইকসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী চুরি হয়েছিল। এই ঘটনার সাথে যোগসূত্র থাকতে পারে বলে তিনি সন্দেহের কথা বলেন। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে সঠিক রহস্য উদঘাটনের দাবি করেন পুলিশ প্রশাসনের কাছে।
বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুর রহমান বলেন, রহস্যময় অগ্নিকাণ্ড ঘটনায় আমি মর্মাহত। যেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটেছে সেখানে কোন বৈদ্যুতিক তার বা লাইন ছিল না। আগুনের উৎস সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারছি না। কেউ ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আগুন লাগিয়েছে কিনা তেমন মনে হচ্ছে। তিনি জানান, মসজিদের দোতলাতে কিছু কোরআন শরীফ আর কিতাব রাখা ছিল সেগুলো পুড়ে গেছে। এদিকে মসজিদে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মসজিদের দোতলার একটি শেলফে পুরোনো কিছু কিতাব রাখা ছিল। তাতে আগুন লেগে গেলে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। ধোঁয়া দেখে মুসুল্লিরা আগুনের বিষয়টি বুঝতে পারেন। কিন্তু আমরা খবর পেয়ে আসতেই ৮০ ভাগ কিতাব পুড়ে যায়। খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, বুক শেলফটির আশেপাশে কোন বৈদ্যুতিক লাইন কিংবা তার ছিল না বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি বলেন, আগুন কীভাবে লেগেছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। যেহেতু সিসি ক্যামেরা কিংবা প্রত্যক্ষদর্শীও নেই তাই আমরা জিডি করতে বলেছি মসজিদ কমিটির লোকজনকে। জিডির ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।