আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিটিতে সর্বোচ্চ হাট ২২ লক্ষ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঈদুল আযহা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এবার ৭টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৬ জুলাই দুপুরে নগরভবনে দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়। এতে সর্বোচ্চ দরে হাট পান নাসিক ১০ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষী নারায়ণ মিলস সংলগ্ন মাঠের খালি জায়গায় মহিউদ্দিন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বাজার কর্মকর্তা জহিরুল আলম এ নাম ঘোষণা করেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডে গতবছর মোট ২১টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা হয়েছিল। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে হাটের সংখ্যা এবার কমে এসেছে। তবে গতবারের মতো এবারও শহরের ভিতরে কোন হাটের দরপত্র আহবান করা হয়নি। এবার সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ল²ীনারায়ণ মিলস সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের খালি জায়গার অস্থায়ী পশুর হাটটির। সর্বোচ্চ ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় হাটের ইজারা পেয়েছেন একমাত্র দরদাতা হাজী মহিউদ্দিন। সবচেয়ে কম দর উঠেছে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলহর আনোয়ার সাহেবের বালুর মাঠের ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা। সর্বোচ্চ দর দিয়ে হাটটির ইজারা পেয়েছেন যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ। এই হাটের জন্য অন্য দুইজন আমজাদ ও আইয়ুব যথাক্রমে ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা ও ৫০ হাজার টাকার দরপত্র জমা দিয়েছিলেন।

এছাড়া ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশুর হাটের ইজারা পেয়েছেন সর্বোচ্চ দরদাতা মোহাম্মদ বদর উদ্দিন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশুর হাটটির জন্য তিনজন দরপত্র জমা দেন। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকায় হাটের ইজারা পেয়েছেন কাজী আতাউর রহমান। এই হাটের জন্য মহিউদ্দিন ২ লাখ ২০ হাজার টাকার এবং হোসেন মেম্বার ৩ লাখ টাকার দরপত্র জমা দিয়েছিলেন।
৮ নম্বর ওয়ার্ডে ইব্রাহিম টেক্সটাইল মিলস মাঠের অস্থায়ী হাটটির জন্য সর্বোচ্চ ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার দরপত্র জমা দিয়ে ইজারা পেয়েছেন শাহ্ আলম। এই হাটের জন্য হাজী মুসলিম উদ্দিন ৭ লাখ ও মহিউদ্দিন মোল্লা ৮ লাখ টাকার দরপত্র জমা দেন।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের জালকুড়ি টিসি রোড সংলগ্ন খালি জায়গার হাটের ইজারা পেয়েছেন মিজানুর রহমান। তিনি সর্বোচ্চ ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার দরপত্র জমা করেছিলেন। বিপরীতে মো. কাশেম আজাদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকার দরপত্র দেন।

২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা পেয়েছেন শফিউল্লাহ। একমাত্র দরদাতা হিসেবে ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকার দরপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বাজার কর্মকর্তা জহিরুল আলম জানান, সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে ৪টি, শহর অঞ্চলে একটি ও কদমরসূল অঞ্চলে ২টি হাটের দরপত্র আহবান করা হয়েছিল। দরপত্র উন্মুক্ত করার মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাদের নির্বাচন করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী রোববারের মধ্যে তাদের ইজারাদার হিসেবে ঘোষণা করা হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমনের বিষয়টি মাথায় রেখে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে হাট পরিচালনা করতে হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ