আজ বুধবার, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

লকডাউনে দেরি করায় সুযোগ নিয়েছে করোনা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জ ও মাদারীপুরের শিবচরে। পরে ঢাকার বাসাবো, টোলারবাগসহ ঢাকার বাইরে ১৮ জেলায় ছড়িয়ে গেছে। সারা দেশেই নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া যাচ্ছে। প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনের কথায় উঠে এসেছে, লকডাউনে দেরির সুযোগ নিয়েছে করোনা।

নারায়ণগঞ্জে প্রথম এ ভাইরাসে শনাক্ত হওয়ার ঠিক এক মাস পর আজ বুধবার থেকে পুরো জেলা লকডাউন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা শিবচরের চেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ। জেলাটিতে ৪০ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। শহরের ভেতর ইপিজেড, পোশাক কারখানা, হোসিয়ারিসহ ভারী শিল্প কলকারখানার পাশাপাশি চাল, ডাল, আটা, ময়দা, লবণসহ নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজার রয়েছে।

করোনার বিস্তারের মধ্যেও কারখানা-ব্যবসা চলেছে অবাধে। গত শনিবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী সিটি এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে লকডাউন করে কারফিউ জারি করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান। তাঁর এই আহ্বানের পর গতকাল পর্যন্ত নতুন করে ২৭ জন শনাক্ত হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে শুরুতেই ৫০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট করা হয়। প্রতিটি উপজেলাতেও ৫ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট হয়। তবে শুরুতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সেখানে রাখার ব্যাপারে এতটা তৎপরতা দেখা যায়নি। এ ছাড়া চিকিৎসকদের সুরক্ষাসামগ্রীও দেরিতে পৌঁছেছে। বর্তমানে শহরের আইসোলেশন সেন্টারে ১৫ জন ভর্তি আছেন। শহরে কোয়ারেন্টিন করার জন্য ব্যবস্থা থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাউকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়নি।

নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্য জেলায়ও করোনা ছড়িয়েছে। নরসিংদী, টাঙ্গাইল, গাজীপুরে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিরা নারায়ণগঞ্জে ছিলেন। গতকাল রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভাওড়া এলাকায় একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লিনিকে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে। ফলে ওই এলাকায় এখন লকডাউন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নরসিংদীতে দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাঁরা দুজনই নারায়ণগঞ্জে চাকরি করতেন। গত সোমবার প্রথম নরসিংদীর পলাশের ডাঙ্গা ইউনিয়নে একজন শনাক্ত হন। তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গতকাল নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের এক বাসিন্দা শনাক্ত হন। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে নারায়ণগঞ্জে চাকরি করেন। গতকাল গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ঠান্ডা, সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তবে তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়নি এখনো হয়নি। সূত্র: প্রথম আলো

এসএমআর