প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের ০৪ (চার) জন সক্রিয় সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই শ্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ও ছিনতাইকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই বিশেষ সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা সংক্রান্ত কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি বিশেষ গোয়েন্দা টিম ছায়া তদন্তে নামে। তদন্তে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য বের হয়ে আসে যাতে দেখা যায় যে, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আসা সাধারণ মানুষের নিকট হতে ছিনতাইয়ের মাধ্যমে টাকা-পয়সা, মোবাইল সেট, ল্যাপটপসহ সংগে থাকা দামী-দামী মালামাল ছিনতাই করে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আসা ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে তাদের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নিচ্ছে। মুলত তারা একটি সংঘবদ্ধ দলে কাজ করে। বিভিন্ন বাস/ট্রাক কাউন্টার/সড়কে এ গ্রুপের এজেন্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কোন ধনাঢ্য ব্যক্তি কিংবা ব্যবসায়ী রাজধানীতে প্রবেশ করলে তারা তাদের টার্গেট করে এবং মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের সুবিধামত নির্ধারিত স্থানে পৌঁছালে আটক পূর্বক সংগে থাকা সমস্ত কিছু ছিনিয়ে নেয়। এ সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে র্যাব-২ গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
গত ১৫ এপ্রিল র্যাব-২-এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ডিএমপি ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন সাত রাস্তা কেন্দ্রীয় ঔষুধাগার এর সামনে ৩/৪ জন সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারী ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা দৌঁড়ে পালানোর সময় (১) মোঃ ওসমান গনি (২৯), (২) মোঃ ফারুক (২৮), (৩) মোঃ জাকির হোসেন চন্দন(২৩) ও (৪) মোঃ রাসেল (২৪)কে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর বিভিন্নস্থানে ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকাসহ আরো অন্যান্য এলাকার আশ পাশে ছিনতাই করে সাধারণ জনগনের সবর্স্ব লুট করে নিয়ে যায়। ধৃত আসামীগণ একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সক্রীয় সদস্য। রাস্তা পারাপারের সময় সাধারণ জনগনের সাথে থাকা ব্যাগ চাকু দিয়ে কেটে ভেতরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ মালামাল ছোঁ মেরে ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়।