নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলাধীন নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডের বঙ্গশাসন এলাকায় বসবাসরত ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রতিষ্ঠিত রাজাকার ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী নূর ইসলাম (৬৭) এর বিরুদ্ধে দেশের চলমান যুদ্ধাপরাধী দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল আইনে শাস্তির দাবীতে শনিবার বাদ যোহর উক্ত বঙ্গশাসন বাইতুন নূর জামে মসজিদের সম্মুখে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয়রা।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে স্থানীয় বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে বঙ্গশাসন পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হাসান ইমাম মুন্সী সাংবাদিকদের জানান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় নূর ইসলাম ওরফে (বেইলী রাজাকার) ও তার পিতা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর ছিলেন এবং তারা পাকিস্তানী আর্মিদের সাথে মিলে বঙ্গশাসন ও আশে পাশের এলাকার সৈয়দ আঃ খালেক, সৈয়দ আঃ মালেক, বছর উদ্দিন, সাহিদা আক্তার, সাহাদুল্লাহ, আঃ জব্বার, আঃ আজিজ, সরদর আলী, আমিজ উদ্দিন, আইয়ুব আলী, সামছুদ্দিন সহ ১৩জন বাংলাদেশীকে হত্যা করে এবং সোনারগাঁয়ের নয়াবাড়ী, পাঁচপাড়া, খাসপাড়া ও বন্দরের বঙ্গশাসন, হরিপুর, লালখারবাগ, মুরাদপুর, চাপাতলী সহ প্রায় ২০ এর অধিক গ্রাম পুড়িয়ে দিয়ে মানুষকে সর্বসান্ত করে।
যুদ্ধ শেষে নূর ইসলাম পালিয়ে গেলে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তার পিতাকে হত্যা করলেও তাকে খুঁজে পায়নি। প্রায় ১৪ বছর পলাতক থাকার পর সে এলাকায় ফিরে আসে এবং বসবাস করতে থাকে। কিন্তু তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আজও পাল্টায়নি। সে বিএনপি, জামায়াত সহ বিভিন্ন উচ্ছৃঙ্খল গোষ্ঠিকে একত্রিত করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তুলেছে এবং নাশকতা সহ রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালাতে পারে আমরা সেই আশংকা করছি।
বর্তমান সময়ে তার এই অনৈতিক কর্মকান্ডে মদদ দিচ্ছে ও তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় ৪টি হত্যা মামলার আসামী শহীদুল ইসলাম (৬৫)।
স্থানীয়রা আরও জানান, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না এবং যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। আমরা নূর ইসলাম ওরফে (বেইলী রাজাকার) ও তার সহযোগী শহীদুলের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করছি এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিক্ষোভে স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল হাশেম, আঃ মান্নান, সালাউদ্দিন, আঃ জলিল, আওয়ামী মটর চালক লীগ নেতা এছাক মিয়া, আলমাস, হাবীবুল্লাহ মেম্বার, মুন্সী সালাউদ্দিন, আবুল, আঃ মোতালিব, জাতীয় পার্টি নেতা আবু হানিফ, যুবলীগ নেতা আল আমিন, ফরিদ আহম্মেদ, বাশার সহ অসংখ্য স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন।
উল্লেখ্য বেইলী রাজাকার ইস্যুতে এলাকা উত্তপ্ত বিধায় ।