নবকুমার:
রূপগঞ্জের শিক্ষকদের স্যালুট জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা জাতির বিবেক। আপনারা প্রধানমন্ত্রী তৈরী করেন। আপনাদের কথা সবাই শোনে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে শিক্ষকরা সম্মান পায়। গাজী পরিবার আপনাদের সাথে আছে। আপনার একটা শিক্ষিত রূপগঞ্জ দেন নৌকার ভোটের অভাব হবে না। তারাই ভোট দেবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষককে সম্মান করেন। তিনি শিক্ষককে চেয়ার ছেড়ে দেন। যারা অন্য মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আসে উনারা শিক্ষকের মর্ম বুঝবেন না। উনাদের নেতা স্কুল পার হতে পারেননি, কলেজে তো যায়নি। যারা শিক্ষকের দ্বারা আলোকিত হয়েছে তারাই শিক্ষকের মর্ম বুঝে।
তিনি বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের আমলে একমাত্র শিক্ষার উন্নয়ন হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী। তার সরকার শিক্ষাবান্ধব। গোলাম দস্তগীর গাজী সাহেব একজন শিক্ষিত মানুষ। তিনি শিক্ষককে মর্যাদা দিতে যানে। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য একবার এসে বললে আমার বাবা সেই স্কুলের উন্নয়ন করে দিয়েছেন। তিনি কখনো না করেননি।
গতকাল বরপা আনন্দ পল্লীতে রূপগঞ্জের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকদের মিলন মেলায় মন্ত্রীপুত্র গাজী গোলাম মর্তুজা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সানগ্লাস পড়লে এখন ছাত্রনেতা হওয়া যায়। গত ১৪ বছরে কারও সাথে বেয়াদবি করি নাই। সবার সেবা করতে এসেছি। আমার মা,বাবা রূপগঞ্জ ছেড়ে কোথাও যাননি। বাবা মন্ত্রী হওয়ার পরে ভেবেছিলাম মিন্টো রোডে বাসা পাবো । এমপি ,মন্ত্রীদের সাথে জুমার নামাজ পড়তে পারবো। গত ১৪ বছরে আমার বাবার সাথে জুমার নামাজ পড়তে পারি না। উনি সব রূপগঞ্জে করে। প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানে তিনি থাকেন। আপনারা শিক্ষকরা সবই বোঝেন তাই এখানে কথা বলছি। মুড়াপাড়ায় ফেরি নাই ব্রিজ হয়েছে। ভুলতায় ফ্লাইওভার হয়েছে। অতীতে বহু এমপি ,মন্ত্রী বলে গেছে মুড়াপাড়া কলেজ সরকারী হবে না। গাজী সাহেব মুড়াপাড়া কলেজ সরকারী করে দেখিয়ে দিয়েছে। এবার নির্বাচনে আমাদের শ্লোগান ‘কথা দিয়েছিলাম কথা রেখেছি’।
শীত শেষ হলে শীতের পাখিরা থাকে না। নির্বাচনের আগে অনেকেই আসবে তাদেরকে আপনারা শিক্ষকরা বলবেন ৪ বছর কোথায় ছিলেন ।
মানুষ থাকলে আমার বাবা-মা সুস্থ, মানুষ না থাকলে অসুস্থ। আপনাদের ভালোবাসা চাই। আমার বাবা,মা যেদিন আপনাদের ছেড়ে চলে যাবে সেদিন বুঝবেন তারা কি জিনিস ছিলেন। আপনারা আমার বাবা,মাকে ছেড়ে দিলে মরে যাবে। আমরা এতিম হয়ে যাবো। আমার বাবা,মার জন্য আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাই। আর কোন কারণ নাই। গাজী সাহেবকে হারাবেন না। আপনারা শিক্ষকরা জাতির বিবেক, আপনাদের কথা মানুষ শোনে, সবাই বলবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ভালো মানুষ, গাজী সাহেব ভালো মানুষ। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে শিক্ষাব্যবস্থা নিরাপদ। আমরা ঠিক থাকলে, শপথ করলে শীতের পাখি কিছুই করতে পারবে না। ভুলে যাবেন না। যারা ইতিহাস বিকৃতি করে, যারা সত্য কথা বলতে দেয় না, তারা কি আমার ভোটের যোগ্য।
তিনি বলেন, মুর্খ ছেলের সাথে কি আপনারা মেয়ে বিয়ে দেবেন? তাহলে আমরা মুর্খ প্রধানমন্ত্রী কেনো চাইবো। ভোট নিতে হলে আগে সাটিফিকেটটা সামনে দেখান। আমরা শিক্ষিত মানুষকে ভোট দেবো, আমরা সৎ মানুষকে ভোট দেবো। যারা ইতিহাস বিকৃতি করে তাদেরকে ভোট দেবো না। পিতার পরিচয় কারা লুকায়? আপনারা আমার শিক্ষক। আমার বাবা আপনাদেরকে সম্মান করে। আপনাদের সাথে কোনদিন বেয়াদবি করি নাই। এমপি,মন্ত্রীদের ছেলের মতো আচরণ আমি দেখাই নাই। ভালো সব সময় ভালো। খারাপ, মিথ্যুক এবং যারা শীতের পাখি তারা আসবে ,আমাদেরকে বিরক্ত করবে এবং সময় মতো পালিয়ে যাবে। আমি আপনাদেরকে কিছুই দিতে পারি নাই। আপনাদের স্যালুট জানাই। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করেছে। বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে। শিক্ষক অপরাধ করলে বিচার করবে আদালত কোন ছাত্র নয়, কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান কিন্তু আমার স্ত্রী একজন শিক্ষক। আমি শিক্ষিকার স্বামী হিসেবে নিজেকে গর্ববোধ করি। আমার শিক্ষককে দেখা মাত্রই ড্রাইভ দিয়ে আগে পা ছুঁইয়ে সালাম করি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল হক, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিক উদ্দিন আহম্মেদ, রূপগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও অধ্যক্ষ ড. আব্দুল আউয়াল মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র সাহা, সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, নব কিশালয় হাইস্কুল এন্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ নজিবুর রহমান, নুরুন্নেছা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রূপসী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মো: আব্দুল্লাহ খান মুন্না। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাগবের আইডিয়াল হাইস্কুলের সদস্য এম এ মোমেন, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন প্রমুখ।