আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মোহাম্মদপুর থেকে ৪০ হাজার ৮শ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

মোহাম্মদপুর থেকে ৪০

মোহাম্মদপুর থেকে ৪০

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আজিজ মহল্লা থেকে ৪০,৮০০ (চল্লিশ হাজার আটশত) পিস ইয়াবাসহ ০৩ (তিন) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২।

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই শ্লোগান নিয়ে র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাদক দ্রব্য উদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের যুব সমাজ তথা নতুন প্রজন্ম’কে মাদকের নীল দংশনের ছোবল হতে পরিত্রান এবং সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে মাদক বিরোধী অভিযানে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাবও কঠোর অবস্থান নিয়ে আসছে এবং নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সন্ত্রাস, চরমপন্থী ও ধর্মীয় জঙ্গিবাদ নির্মূলের পাশাপাশি মাদক বিরোধী অভিযানে র‌্যাব বলিষ্ঠ পদক্ষেপ রেখে চলেছে। গোয়েন্দা ও নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান, চোরাকারবারী, চোরাচালানের রুট, মাদকস্পট, মাদকদ্রব্য মজুদকারী ও বাজারজাতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। র‌্যাব-২ সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছে।

গতকাল র‌্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন কৃষিবাজার রোডস্থ আজিজ মহল্লা (টিক্কাপাড়া) ৬-বি/৯, ব্লক-এফ, বাইতুল ইসলাম ভবনে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ নেশা জাতীয় ট্যাবলেট (ইয়াবা) চালান নিয়ে অবস্থান করছে। প্রাপ্তসংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র‌্যাবের আভিযানিক দল ডিএমপি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানাধীন কৃষিবাজার রোডস্থ আজিজ মহল্লা (টিক্কাপাড়া) ৬-বি/৯, ব্লক-এফ, বাইতুল ইসলাম ভবনের সামনে উপস্থিত হয়। আসামীরা উক্ত ভবন হতে বের হওয়ার সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী ১। পারভেজ মাসুদুর রহমান (৩৬), ২। মোঃ তৌহিদ সরকার @ রবি (২৭), ৩। মোঃ মাসুম মিয়া (২০)’দেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী পারভেজ মাসুদুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, টেকনাফ সীমান্ত এলাকা হতে ইয়াবা সংগ্রহ করে কখনো কুরিয়ার সার্ভিস, বাস বা ট্রাকে করে ঢাকায় পাঠাতো। সে নিজে কখনো এই সব চালান বহন করতো না। কুরিয়ার সার্ভিস, বাস, ট্রাকে করে ইয়াবার চালান পাঠিয়ে দিয়ে সে আকাশ পথে বা রেল পথে ঢাকায় এসে তা সংগ্রহ করে জেনেভা ক্যাম্পে সরবরাহ করত। সে এর আগেও বেশ কয়েকটি ইয়াবার বড় বড় চালান সফলতার সাথে সরবরাহ করেছে বলে জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, বর্তমান যুব সমাজে ইয়াবার ব্যাপক চাহিদা থাকায় চড়া দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্য তারা আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে ইয়াবা ট্যাবলেট (নিষিদ্ধ মাদক) রাজধানীর বিভিন্ন মাদক স্পটসহ বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে আসছে। তারা অতি লাভের আশায়, রাতারাতি ধনী হবার নেশায়, নিজেদেরকে নিষিদ্ধ এ মাদক ব্যবসায় জড়িয়েছে। ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।