আড়াইহাজার প্রতিনিধি
আগামী ২৫ জুলাই আড়াইহাজার উপজেলার দুইটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহম্পতিবার উপজেলা পরিষদ হল অডিটরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনার সচিব হেলালুউদ্দীন আহমদ প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এসময় তিনি সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ একটি পরিবেশে নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া। উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক বিপিএম,পিপিএম, যুগ্ম-সচিব (নির্বাচন)খোন্দকার মিজানুর রহমান, ইউএনও সুরাইয়া খান, র্যাব-১১-এর অধিনায়ক মেজর আশিক বিল্লাহ, আড়াইহাজার পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার ফয়সাল কাদের, গোপালদী পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার সফিক রহমান, উপজেলা নির্বাচন কমিশনার আফরোজা খাতুন, আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক, অড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির মেয়র প্রার্থী পারভীন আক্তার, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সুন্দর আলী, গোপালদী পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আব্দুল হালিম সিকদার ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী মুসফিকুর রহমান মিলন, আড়াইহাজার রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এম এ হাকিম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংবাদিক হানিফ মোল্লা ও মাহবুব মোল্লা প্রমুখ। এসময় ৮৬জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বিএনপির মেয়রপ্রার্থী পারভীন আক্তার সচিবের কাছে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট প্রদানের নিশ্চিয়তা চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সচিবও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
নির্বাচন কমিশনার সচিব হেলালুউদ্দীন আহমদ বলেন, সারাদেশেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আড়াইহাজারে যাতে কমিশনের কোন বদনাম না হয় আমরা সেভাবেই কাজ করব। কোন প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি হতে দিব না। বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থি থাকবেন। এখানে কোন ভোট জালিয়াতি হতে দেওয়া হবে না। কঠোর নিরাপত্তা বজায় রেখে এখানে ভোট গ্রহণ করা হবে। এসময় সচিব বলেন , নির্বাচনের পর কেউ যাতে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে। সেইভাবে আমার ব্যবস্থা নিব। কোথায় নির্বাচনের আগে সচিবের সাথে আলোচনা সভা হয় না। আপনারা ২০১৩ সালের নির্বাচন দেখেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আসতে।
আড়াইহাজারের নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমি এসেছি। আপনাদের মধ্যে যারা জালভোট ও কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনা করছেন। তারা মাথা থেকে এ চিন্তা ঝেঁড়ে ফেলে দিন। আমার সামনে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাবের অধিনায়ক আছেন। রিটানির্ং অফিসাররা আছেন। তারা আমাকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে। র্যাব, পুলিশ থাকবেন, এক প্লাটন করে দুইপ্লাটন বিজিবি থাকবেন, পর্যবেক্ষণ থাকবেন, দুইজন করে চারজন বিচারিক ম্যাজিস্টেট থাকবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্টেট থাকবেন।