নিজস্ব প্রতিবেদক: হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নামে দেওয়া একটি ভুয়া স্ট্যাটাস শামীম সাঈদীর ফেসবুক পেইজসহ বিভিন্ন পেইজ এবং ফেসবুক আইডি থেকে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার ( ৫ এপ্রিল ) দুপুরে ভাইরাল হওয়া ওই ভুয়া স্ট্যাটাসের প্রতিবাদ জানিয়ে ‘জেলা পুলিশ নারায়ণগঞ্জ’ ফেসবুক আইডি থেকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।
দৃষ্টি আকর্ষণ করে সবাইকে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ এ ধরনের কোনো বিবৃতি প্রদান করেননি।
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছি। জনসাধারণকে এ রকম বিভ্রান্তিকর তথ্য যাচাই না করে কোনো রকম মন্তব্য বা শেয়ার থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছি।
প্রসঙ্গত, রোববার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আইডি থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নাম দিয়ে মন্তব্য প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেয়া হয়। সেই স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়- ‘৭১ টিভি একটা ফোনালাপ প্রকাশ করেছে সেটা শুনে আমি কিছু মিলাতে পারছি না! বুঝলাম না, মামুনুল হক সাহেবের ঘটনার লাইভটি আমি সেই শুরু থেকেই দেখছিলাম, হাজার হাজার হেফাজত সদস্যরা উনাকে মিছিল করে নিয়ে গেল। উনি ঈদগাহ মাঠে বক্তব্য রাখলেন পুরোটা সময় লোকজনের শব্দে উত্তাল। এর মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে উনি কথা বল্লেন আর সেই ফোনালাপে কোনো বাহ্যিক শব্দ শোনা গেলো না! এবং এত তাড়াতাড়ি ৭১ টিভির কাছে চলে গেল, আজব আমি তো কিছু বুঝলাম না.., আরে কেমনে কি…? আটকও নয়! গ্রেফতারও নয়! আমরা উনাকে দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করেছি!
দ্বিতীয় কথা হল- ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের বিচার চেয়ে অনেকেই বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করে। প্রথম স্ত্রী, দ্বিতীয় স্ত্রী বা দুই স্ত্রীর পরিবারের কেউ কোনো জায়গায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিল না। অথচ বিচার করার জন্য অনেকেই উঠেপড়ে লেগেছে। দেশের এতো উন্নয়ন কবে হইলো? দুই স্ত্রীর যদি কোনো আপত্তি না থাকে তাইলে, আপনাদের এতো মাথাব্যথা কেন? ফেসবুকের ওই স্ট্যাটাস মিথ্যা।