নারায়ণগঞ্জ শহরে কাঁচা বাজারগুলোতে বিভিন্ন কারণে মুরগি মারা গেলে তা ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া হয়। আর সেই মৃত মুরগি সংগ্রহ করে প্রতিদিন বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করেন অনু দাস ও তার সঙ্গিরা। প্রতিদিনের মত মৃত মুরগি সংগ্রহ করে নগরীর প্রেসিডেন্ট রোডে অবিস্থিত একটি ছোট্ট খাবার হোটেলে সরবরাহ করতে আসে অনু দাস ও তার সঙ্গি জব্বর। এ সময় হঠাৎ হোটেলটিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হলে গ্রেপ্তার হয় অনু দাস। তবে পালিয়ে যায় তার সঙ্গি জব্বার।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর প্রেসিডেন্ট রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গ্রেপ্তারকৃত অনু দাসকে এক বছরের কারাদন্ড দেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃত অনুদাস পেশায় একজন ডোম।
অনু দাস জানান, একটি চক্র প্রতিদিন ডাস্টবিন থেকে মৃত মুরগি সংগ্রহ করে বিভিন্ন খাবার হোটেলে সরবরাহ করে। বেশ কিছুদিন যাবৎ সে তাদের সঙ্গে মিলে নগরীর খাবার হোটেলগুলোতে মৃত মুরগি সরবরাহ করে আসছিল। প্রতিটি দোকান থেকে এর জন্য তারা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পেত।
নগরীর কোন কোন হোটেলে তারা মৃত মুরগি সরবরাহ করে জানাতে চাইলে অনু দাস বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট রোডের কয়েকটা দোকান আর হকার মার্কেটের হোটেলগুলায় এই মুরগি বেঁচি। মুরগি দিলে হেরা ৫০০, ৬০০ টাকা আমাগো দেয়।’
এ বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা ১ একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তার এই অপরাধে তাকে ১ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। একই সাথে মক্কা-মদিনা স্টোরকে ২০ হাজার ও মক্ক-মদিনা হোটেলকে ৫০ হাজার মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’