আজ সোমবার, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বৃষ্টির পানিতে ভাসছে গোলাকান্দাইলবাসী

বিপ্লব হাসান : কয়েক দিন থেকেই থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইলবাসী পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন গোলাকান্দাইল ও বলাইখাঁ এলাকার প্রায় কয়েকশতাধিক পরিবার। কোথাও কোথাও বসতবাড়িতেই পানি আবার কোথাও রাস্তার উপরেও পানি। এছাড়াও গাউছিয়া মার্কেট, তাঁতবাজার,নুর ম্যানশন মার্কেটেও পানি ঢুকে পড়েছে।

টানা এক সপ্তাহ  এই বৃষ্টি কখনো ঝিরিঝিরি আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি ফের কিছক্ষণ অবিরাম চলে। আর বৃষ্টি এলেই গোলাকান্দাইল ও বলাইখা এলাকা তলিয়ে যায়।  বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়েই পানিবন্দি অবস্থায় উপজেলার গোলাকান্দাইল ও বলাইখাঁ এলাকার মানুষের দিন রাত কাটছে। এই অবস্থায় ঘর থেকে বের হওয়ার জো নেই পানিবন্দি এলাকার বাসিন্দাদের। এই বৃষ্টিতে পানি বন্দি এলাকায় দেখা দিচ্ছে খাবার পানির সংকট। এমনতাবস্থায় অনেকেই বৃষ্টির পানি দিয়ে রান্না ও থালা-বাসন ধোঁয়ার কাজ করছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় গোলাকান্দাইল নতুন বাজার মূল সড়কে বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জলজট। মূল সড়কে এক হাঁটু পানি মাড়িয়ে চলতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সেখানে কোনো গাড়ি চলাচলও করতে পারছেনা। এক রিকশা চালক বলেন, আমরা দিন আনি দিন খাই। রাস্তায় এমন জলাজট থাকলে আমরা রাস্তায় গাড়ি চালাতে পারি না। কারণ জলাবদ্ধতায় সড়কের গর্তে পরে গাড়ির চাকা ভেঙ্গে যায়।

গোলাকান্দাইল এলাকার বাসিন্দা বলেন, প্রতি বছরই বৃষ্টির পানিতে এই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এবারও হয়েছে তবে এবারের বৃষ্টির পানির সাথে বিভিন্ন ডাইং কারখানার বর্জ্যের পানি মিশিত হওয়ায় জলাবদ্ধ পানিতে ভীষণ দুর্গন্ধ এবং চারদিকে ডেঙ্গু মশার ছড়াছড়ি লক্ষ করা যাচ্ছে।

গোলাকান্দাইল বিজয়নগর এলাকার বাসিন্দা নাম না বলার শর্তে বলেন,  একাধিক জলাশয় ও খাল ভরাট করে নিমার্ণ করা হয়েছে মিলকারখানা,বাসাবাড়িসহ নানা স্থাপনা । ফলে বৃষ্টির পানি যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে থৈ থৈ গোলাকান্দাইল তাঁতবাজার,নুর ম্যানশন মার্কেট,আব্দুল হক সুপার মার্কেটের দোকানগুলোও। জলাবদ্ধতার কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁতবাজারের দোকানদাররা বলেন,পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা করছেন না মার্কেট মালিক । গোলাকান্দাইল ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার নাসির বলেন, এই বৃষ্টির জলাবদ্ধ পানি নিষ্কাষণের জন্য আমি রীতিমত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধ পানি নিষ্কাষণের জন্যে পাইপ বসিয়েছি। এছাড়াও ছোট ছোট খালগুলো লোকদিয়ে পরিষ্কার করেছি। যাতে জলাবদ্ধ পানি সহজে নদীতে নামতে পারে। এব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই বৃষ্টি আব্যাহত থাকতে পারে। আর সে ক্ষেত্রে দুর্বল পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা না করলে এই এলাকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ।