আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খালেদার গুলশান কার্যালয়ে মনোনয়নবঞ্চিতদের হামলা-ভাঙচুর

তাওসিফ মাইমুন: বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় নয়াপল্টনের পর গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন নেতাকর্মীরা। এর ফলে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

শনিবার বিকালের পর মনোনয়ন বঞ্চিত বেশ কয়েকজন নেতার প্রায় ৫ শতাধিক অনুসারী কর্মী-সমর্থকেরা গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেন।

এসময় তারা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান ফটকে লাথি মারেন, ধাক্কা দেন, ইট-পাটকেল ছুড়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ ঘটনায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক শাহ আলম ফারুক গুরুত্বর আহত হয়। ইটের আঘাতে কার্যালয়ের গ্লাস ভেঙে যায়।

এ সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের অনেকে এই সময় কার্যালয়ের ভেতরে ছিলেন। এরপর বিকেল পাঁচটার পর মাইকে মনোনয়ন ঘোষণা স্থগিত করা হয়।

জানা গেছে, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন, নারায়ণগঞ্জের আসনের তৈমুর আলম খন্দকার, গোপালগঞ্জ-১ আসনের সেলিমুজ্জামান সেলিম, শেরপুর -২ ফাহিম চৌধুরী, মোজাম্মেল হক তোজা মানিকগঞ্জ-১, তানবির হুদা, আহসানউল হক, সাবেক এমপি ওহেদুজ্জামানেরসহ বেশকিছু মনোনয়ন বঞ্চিত নেতার কর্মী-সমর্থকরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন।

এর আগে শনিবার সকালে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলনের অনুসারী নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টন কার্যালয়ের কলাপবিসবল গেটে তালা দেন। বিক্ষোভের পর ১২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে তারা তালা খুলে দেন।

এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে মিলনের কর্মী–সমর্থকেরা গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সামনে এসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করতে থাকেন। একই সাথে মনোনয়ন বঞ্চিত বিএনপি নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ অন্যান্য নেতাদের কর্মী-সমর্থকেরা চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষুব্ধদের একজন আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কচুয়া থেকে মিলনকে চাই। যাকে দেওয়া হয়েছে সে একজন আদম ব্যাপারী। ৩৩ বছর তাকে এলাকায় দেখিনি। এলাকার লোকজনের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই। সে মনোনয়ন পায় কীভাবে?”
এবাদুর রহমান নামে আরেকজন অভিযোগ করেন, টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। “এহছানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে সরকার ৩৩টি মামলা দিয়েছে। সে তার সব কিছু ত্যাগ করেছে দলের জন্য। কিন্তু তাকে মনোনয়ন না দিয়ে টাকা খেয়ে একজন ভুয়া লোককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা এটা মানব না।”