সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
সিদ্ধিরগঞ্জে ‘ছেলেধরা’ গুজবে গণপিটুনীতে নিহত বাকপ্রতিবন্ধী সিরাজের অসহায় পিতা আব্দুর রশিদের পাশে দাঁড়িয়ে মহানুভবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নিহত সিরাজের পিতা বিভিন্ন বাড়ি থেকে কোরবানির মাংস সংগ্রহ করেছিলেন। এর থেকে নিজের খাবারের অংশটুকু রেখে বাকী ৬ কেজি ৬শ গ্রাম মাংস বিক্রির জন্য তিনি ঈদের দিন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো গেট ৪ তলার সামনে বিক্রি করার জন্য বসেন। সেখানে স্থানীয় কলাবাগের ফজল করিম সে মাংস কিনে নেয়। কিন্তু টাকা না দেওয়ার অজুহাতে পাশের করিমের চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে চড়-থাপ্পর মারেন। একই সময় রশিদ মিয়ার পকেট থেকে ৪শ ৫০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ খবরটি এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
এক কান দু কান করে খবরটি পৌঁছে যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জের কাছে। তার মাধ্যমে খবরটি পৌঁছে পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের কাছে। এরপরই পুলিশ সুপার ওসি সিদ্ধিরগঞ্জ এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং ভুক্তভোগি আব্দুর রশিদকে ২ হাজার ৫শ টাকা প্রদানের নির্দেশ দেন।
এদিকে ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্ত ফজল করিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। পরে ভুক্তভোগি আব্দুর রশিদের ছেলে এবং গণপিটুনীতে নিহত সিরাজের বড় ভাই বাদী হয়ে ফজল করিমকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ফজল করিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার ফজল করিম পশ্চিম কলাবাগের মো. সরাফত আলীর ছেলে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।