আজ শনিবার, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বর্ণিল ঈদ আয়োজন নিয়ে নকশা

আয়োজন নিয়ে নকশা

আয়োজন নিয়ে নকশা

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ-উল-ফিতর। আর ঈদ মানেই তো নতুন পোশাক। প্রতি ঈদে এই ট্রেন্ডের কথা তো জানা আছে সবারই। ঈদের পোশাক কিনতে এরই মাঝে বিপণি বিতানগুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল। বিক্রেতারাও ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতার চাহিদা মেটাতে।
নকশা নারায়ণগঞ্জের একটি অতিপরিচিত বুটিক হাউজ। এবারের ঈদ-উল-ফিতরে নকশার সকল আউটলেটে রেডিমেড পোশাক খুব সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করছেন।
দেশের প্রতিটি ফ্যাশন সচেতন মানুষের কাছে নকশা একটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে তার সুন্দর কাজের মাধ্যমে। নকশা তেমনি একটি আদর্শিক বুটিক প্রতিষ্ঠানের নাম।
প্রতি বছর নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে পোশাক তৈরী করে ডিজাইনাইররা, উৎসবের দিনগুলোতে নকশার আউটলেটগুলো সেজে উঠে বর্ণিল পোশাকে। এবারেও তার কোনরূপ ব্যতিক্রম নেই। দিয়েছে দেশীয় ফ্যাশন সচেতন মানুষের চাহিদা মত সরবরাহ।
নকশা বুটিক হাউজ বাহারি রঙের পোশাকে সাজিয়েছে তাদের এবারের ঈদ কালেকশন।
আলম- খান লেন্ডের নকশার ব্রাঞ্চ মেনেজার সূচনা আকরাম ইভা জানান, আমরা এবার ঈদ কালেকশনে হ্যান্ডওয়ার্কের উপর কাজ করেছি।এমব্রয়ডারি, গ্লো ,টাই-ডাই এগুলো নিয়ে এবার আমরা ঈদে কাজ করেছি।এমন সব পোশাক, ডিজাইন রাখা হয়েছে যা ঈদ ছাড়াও অন্যান্য দিনেও পড়া যাবে। তাই ঈদে নকশা নিয়ে এসেছে ছোট-বড় সকলের জন্য সুন্দর ও আরামদায়ক সব কালেকশন যেমন- সুতি, তাত, কাতান সিল্ক, সিল্ক, কটন, মসলিন,হাফ সিল্ক,জামদানি, পিওর কটন,কুরতা,ধুপিয়ান,তসর,জয়শ্রী সিল্ক। তাছাড়া আরোও আছে তাদের এবারের ঈদ কালেকশনে রয়েছে শাড়ী, থ্রি-পিস, ওয়ান-পিস, টু-পিস, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টপস, পাঞ্জাবি, ফ্রক ইত্যাদি। এ সকল পোশাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন দিয়ে। এছাড়া পোশাকে বিভিন্ন কারুকার্য করা হয়েছে। কাজের মধ্যে ছিল হাতের কাজ, ব্লক, এপ্লিক, এমব্রয়ডারি, টাই ডাই ইত্যাদি। বিভিন্ন রঙের সমাহার বলা যায় তাদের এবারের কালেকশন। প্রায় সব রং ব্যবহার করা হয়েছে তাদের এবারের কালেকশনে।
বাচ্চাদের পোশাকের দাম ১০৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবির দাম সাড়ে ৮শ হতে ৩ হাজার টাকা। সিল্ক পাঞ্জাবির দাম ২ হাজার হতে সাড়ে ১০ হাজার টাকা। শার্ট/ফতুয়ার দাম ১৮শ টাকা ৩০৫০টাকা। থ্রিপিস ১১০০ টাকা হতে ৫ হাজার টাকা।মেয়েদের পোশাকের ২২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত।
আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার ঈদের পোশাকগুলোর ডিজাইন করা হয়েছে। উজ্জ্বল তবে তা অতিরঞ্জিত নয়, এমন সব কালার বেছে নেয়া হয়েছে। রাতে লাল, কালো, নীল, মেজেন্টা, কমলা এবং দিনে গোলাপি, বেগুনী, আকাশী, এ্যাশ রঙের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কাপড় হিসেবে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে শিফন, মসলিন, জর্জেট কাপড়কে। আর তাতে জমকালো ভাব ফুটিয়ে তুলতে করা হয়েছে জারদৌসির কাজ।