আজ শনিবার, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হবে: কামাল

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে জনগণের মতামতকেই সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকবে। বাংলাদেশ হবে, গুম, খুন, হত্যা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত শান্তি-সুখের বাংলাদেশ।’

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার ঘোষণার আগে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর, বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের নানা রকম পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আমাদের শঙ্কিত করছে।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি, নির্বাচনের নামে যে প্রহসনটি হয়েছিল সেটা সংবিধানে বর্ণিত জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই এই জনগণ এই রাষ্ট্রের মালিকানা হারিয়েছে। জনগণ যখন রাষ্ট্রের মালিক থাকে না, তখন রাষ্ট্রের মালিক হয়ে পড়ে কায়েমী স্বার্থবাদী দেশি-বিদেশি নানা গোষ্ঠী। এর মাশুল দিতে হয়েছে এ দেশের মানুষকে। এই রাষ্ট্রটি মানুষের জন্য একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে কি না, সেটা নিশ্চিত হবে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে। যদি এই রাষ্ট্র জনগণের হাতে আবারও ফেরত যায়। জনগণ তার মালিকানা ফেরত পায়। জনগণের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ তখনই নিশ্চিত হতে পারে, যখন সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ।’

ড. কামাল আরো বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও বলতে চাই, এই রাষ্ট্রের মেরামত প্রয়োজন। আগামী সাধারণ নির্বাচনের দিন, ৩০ ডিসেম্বর। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিশ্বাস করে, সেদিন দলে দলে জনে জনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে, ভোট দেবে, ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করে ভোটের অনিয়ম রুখবে, ভোট শেষ হওয়ার পর নিজেদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া দেখে বাড়ি ফিরবে। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে এক গণঅভ্যুত্থানের দিন হবে ৩০ ডিসেম্বর।’

নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারের বিষয়ে কামাল বলেন, ‘আজকের এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে, আজ আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছি। এটা জনগণের ইশতেহার। জনগণের কল্যাণে, জনমতের ভিত্তিতে, এটা তৈরি করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণের ধারা অব্যাহত থাকবে।’

ড. কামাল বলেন, ‘আমরা এখনো আশাবাদী। আশা করছি, পরিশেষে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নির্বাচন বাংলার জনগণ নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। পুনরুদ্ধার হবে নিবিড় গণতন্ত্র।’