আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জন্মদিনে শুভাকাঙ্খীদের ভালোবাসায় সিক্ত বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর অধ্যাপক আবু সাইয়িদ

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর অধ্যাপক আবু সাইয়িদ

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর অধ্যাপক আবু সাইয়িদ

নবকুমার:

অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বাংলাদেশের রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম । তিনি উত্তরবঙ্গের গণমানুষের নেতা। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধের গর্জে  উঠে ছিলেন। গর্জে উঠে ছিলেন জামায়াতের সাবেক আমীর চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী নিজামীর বিরুদ্ধে। গতকাল ছিলো সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের   জন্ম দিন। তিনি আজকের এই দিনে পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার বৃশালিখা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।

জন্ম দিনে শুভাকাঙ্খীরা দের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।  শুভেচ্ছা জানিয়েছে মন্ত্রিসভার সদস্য ও  আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।  গতকাল বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ঢাকার বাসায় গিয়ে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে  শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসায়সিক্ত হয়েছেন তিনি ।বেড়া-সাথিয়ার আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ ড.অধ্যাপক আবু সাঈয়িদের দীর্ঘায়ু কামনা করেছে। তার প্রচেষ্টায় উত্তরবঙ্গের মানুষ উন্নয়নের মুখ দেখেছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্যমন্ত্রী হয়ে বেড়া সাথিয়ার ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।তাকে বেড়া সাথিয়া বাসি আবার এমপি হিসেবে দেখতে চায়।

জানা গেছে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন । রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি রাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন এবং পড়া-লেখা শেষ করে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন । কিছুদিন পরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন ।

অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ১৯৭১ সালে সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় ৭ নং সেক্টরের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন । স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের সংবিধান প্রনয়ণে তিনি উল্লেখযোগ্য ও অসামান্য অবদান রাখেন । ১৯৭০ সালে তিনি বেড়া সাথিয়া সুজানগর এর এম পি এ নির্বাচিত হন । ১৯৯৬ সালে তিনি দ্বিতীয় বার বেড়া সাথিয়ার এম পি নির্বাচিত হন । ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন ।  ১৯৭৫ সালে তিনি পাবনা জেলার গভর্ণর নিযুক্ত হন ।

১৯৯১ সালে এরশাদ হটাও আন্দোলনের মূল রূপরেখা ও আন্দোলন কৌশল অধ্যাপক আবু সাইয়িদের হাতে প্রণীত হয় । ১৯৯১ সালে  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে অধিষ্টিত হন তিনি ।

অধ্যাপ আবু সাইয়িদ  বাংলাদেশের রাজনীতি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার উপর অনেক বই রচনা করেন । যার মধ্যে ০১। ফ্যাক্টস্ এন্ড ডকুমেন্টস ০২। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড: ট্রায়াল পার্সপেক্টিভ এ্যান্ড ভারডিক্ট ০৩। মেঘের আড়ালে সূর্য্য ০৪। ছোটদের বঙ্গবন্ধু ০৫। বাংলাদেশের গেরিলা যুদ্ধ ০৬। জেনারেল অ্যামনেষ্টি ও গোলাম আযম ০৭। যুদ্ধের আরালে যুদ্ধ ০৮। আমি বেঁচে থাকবো ০৯।

ব্রুটাল ক্রাইম: ডকুমেন্টস ১০। অঘোষিত যুদ্ধের ব্লু-প্রিন্ট বইগুলো অন্যতম । এর মধ্যে কিছু সংখ্যক বই তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে (২০০১-২০০ মেয়াদকালীন সময়ে) বাজেয়াপ্ত করা হয় । এছাড়াও তিনি অসংখ্য নাটক, কবিতা রচনা করেন । তিনি বাংলা একাডেমীর একজন আজীবন সদস্য ।