আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পুলিশের কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে নিচু করা হবে: রিজভী

তাওসিফ মাইমুন: সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে গর্বিত বাহিনী হিসেবে সকলের নিকট সমাদৃত হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবেলায় মানুষের জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে উপদ্রুত এলাকায় দ্রুতগতিতে ছুটে যায়। নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে পুলিশের কো-অর্ডিনেশনের োধ্যমে নিচু করা হবে বলে দাবি করেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।

রবিবার রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, সেনাবাহিনী যেখানে ডেপ্লয়মেন্ট হয় সেখানে রাষ্ট্রের অন্যান্য বাহিনীগুলো (বিজিবি, পুলিশ, আনসার ইত্যাদি) সেনাবাহিনীর কমান্ডেই কাজ করে। এটাই বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন নিয়ম। কিন্তু এবারের নির্বাচনে অন্য বাহিনীর অধীনে তাদের কাজ করানোর মাধ্যমে তাদেরকে ছোট করা হবে। যা নজীরবিহীন ও দুরভিসন্ধিমূলক।

তিনি বলেন, পুলিশ ইসির নির্দেশে কাজ করছে, ইসির নির্দেশ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রিত ভোটারবিহীন নির্বাচনেরই আলামত ফুটে উঠছে। এর মাধ্যমে সিইসি স্বীকার করে নিলেন যে, সারাদেশে যত হামলা, মামলা, গায়েবি মামলা, গ্রেফতারসহ সবকিছু হচ্ছে সিইসির নির্দেশে। ইসি সুষ্ঠু নির্বাচন চান না, যে করেই হোক আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় বসাতে হবে-এটাই কমিশনের মনোবাসনা। একতরফা নির্বাচন করতে, দেশে একনায়কতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই তিনি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করার জন্য নয় বলেও দাবি করেন রিজভী।

ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে তিনি আরো বলেন,  নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সাংবাদিকরা ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবেন না, পর্যবেক্ষকদের মুর্তির মতো দাঁড়িয়ে থেকে ভোট পর্যবেক্ষন করতে হবে, তাহলে কি শুধুমাত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী আর আওয়ামী চেতনায় সাজানো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মিলে নির্বাচন করবে ? ভোট ডাকাতির সুযোগ করে দিতেই যাবতীয় আয়োজন করা হচ্ছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে। বর্তমানে যে পরিবেশ বিরাজমান এ পরিস্থিতিতে কোন ভোটার ভোট কেন্দ্রে যাবে না বলেও অভীযোগ করেন।