সংবাদচর্চা রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জ রাজধানীর পাশ্ববর্তী জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। দেশের বিভিন্ন জেলা হতে কর্মের খোঁজে মানুষ এখানে আশ্রয় নেয় । শিল্প অঞ্চল খ্যাত নারায়ণগঞ্জে রয়েছে গণপরিবহণের অভাব।
যে পরিমাণ গণ পরিবহণ রয়েছে তাতে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে । নারায়গঞ্জে মোট ৫টা উপজেলা রয়েছে প্রতিটি উপজেলা ও সিটি করপোরেশনে ব্যাপক কল কারখানা থাকায় যানজট চরমে।
দেখা গেছে নগরীর প্রাণকেন্দ্র চাষাড়া, ২নং রেলগেট, টানবাজার, নিতাইগঞ্জ সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সারা দিন যানজট লেগেই থাকে। ট্র্যাফিক পুলিশ সহ যানজট নিরসন কর্মীরা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছে বলে অভিযোগ করেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় নিয়ন্ত্রণহীন গণপরিবহণে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময় যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করতে অভিযানে নামলেও কোন কাজ হয় না।
পরিবহণ মালিকরা যাত্রীদের জিম্মি করে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন চাপ সৃষ্টিকারি মহলের পরিবহণ মালিকদের সাথে আতাত থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে পরিবহণ মালিকরা।
সিটিং সার্ভিসের নামে যাত্রীদের উপর চালাচ্ছে নির্যাতন। কথায় কথায় যাত্রীদের সাথে চালক হেলপার অমার্জিত ব্যবহার করে বসে।
স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার কথা থাকলেও তা মেনে চলা হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা অর্ধেক ভারা দিতে চাইলে তাদের ঘার ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের ফিটনেস বিহীন গাড়িতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অদক্ষ চালক হেলপার দিয়ে গাড়ি রাস্তায় নামানো হচ্ছে, প্রতিদিন দুর্র্ঘটনার শিকার হচ্ছে । নেশা সেবন কারি চালকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
একটি জরিপে দেখা গেছে শ্রমজীবি নারী শ্রমিক ও শিশুরা বেশির ভাগ হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিভিন্ন সময় ধর্ষনেরও খরব পাওয়া যায়।বাংলাদেশের দ্বিতীয় যানজটের নগরী নারায়ণগঞ্জ। ঢাকা সিলেট,ঢাকা-চিটাগাং রোডে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ জেলার রূপগঞ্জে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীদের রাস্তায় বসে থাকতে হয়। চাকুরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা নিধারিত সময়ে স্কুলে হাজির হতে পারছে না।
সরকার সে রকম বিআরটিসি গাড়ি বরাদ্দ দেয় নি।বেসরকারি যে সকল গাড়ি আছে সে গাড়িতে নিম্ন আয়ের লোকেরা ভ্রমন করতে পারে না।
সিএনজি, লেগুনা, নসিমন ছেয়ে গেছে সারা নারায়ণগঞ্জ জেলা । অবৈধ এ গাড়ির মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রশাসন সহ চাঁদাবাজ চক্র।
গতকাল চিটাগাং রোডে দাড়িয়ে ছিলো অচলা, যাবেন গাউছিয়াতে প্রায় ২ ঘন্টা যাবত দাড়িয়ে আছেন কত গাড়ি যাচ্ছে, কোন গাড়িতে উঠতে পারছেন না।
অচলার কাছে জানতে চাইলে , বলেন সিটিং সার্ভিস বলে গেট লাগিয়ে দেয়। সামান্য রাস্তায় মাত্র অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়।
ফতুল্লা দাড়িয়ে আছে সুরেশ, যাবেন ঢাকা প্রায় ১ ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর একটি গাড়ি আসল, তাও আবার যাত্রীতে ভর্তি কোন রকম ধাক্কাধাক্কি করে ওঠলেন।
সুরেশ বলেন, প্রতিদিন এ রকম ভোগান্তির শিকার হতে হয়ে। দেখার মত কেউ নেই।