নবকুমার:
আজ ৯ ডিসেম্বর, আড়াইহাজার শত্রু মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে সংগ্রামী জনতা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলাকে শক্রু মুক্ত করে। আর নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে প্রথম শত্রু মুক্ত হয় আড়াইহাজার । জেলার মধ্যে প্রথম বিজয়ের পতাকা ওড়ে আড়াইহাজারে।
প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসুচী পালনের মাধ্যমে দিনটি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকে। ১৯৭১ সালে উপজেলার পাঁচরুখী ব্রীজ, ডহরগাঁও এবং মেঘনা নদী দিয়ে বিভিন্ন শত্রুমুক্ত করতে অপারেশন চালানো হয়। প্রবল প্রতিরোধের মুখে পাকবাহিনী ওই সময় আড়াইহাজার থানা এলাকা ছেড়ে ভুলতা দিয়ে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা থানা সদরের ডাক বাংলায় অবস্থিত পাক বাহিনীর ক্যাম্প দখল করে নেয়। সেই সাথে স্বাধীন দেশের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন।
জানা গেছে , আড়াইহাজার থানা এলাকায় পাকবাহিনী মে মাসের শেষের দিকে ঢুকে। প্রথমেই আতংক সৃষ্টির জন্য তারা কয়েকটি গ্রাম থেকে হিন্দু মুসলমান মিলিয়ে ১৭ জন লোক ধরে নিয়ে যায়। কালীবাড়ী ব্রিজের পাশে (ঋষিপাড়ায়) খালপাড়ে সেই নিরীহ ১৭ জন গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। ঋষিপাড়ায় একটি গণকবর রয়েছে। মে মাসে পাঁচরুখী গ্রামে পাকবাহিনী আরো একটি গণহত্যা চালায়। ১৬ জন গ্রামবাসীকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়। পাঁচরুখীতেও একটি গণকবর রয়েছে। দুটি গণহত্যা চালিয়ে পাকবাহিনী ফিরে যায়।
এছাড়া ১২ ডিসেম্বর সোনারগাঁ এবং ১৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহর হানাদার মুক্ত হয়।