আজ মঙ্গলবার, ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নারায়ণগঞ্জস্থানের উদ্যেগে ৪০০ পরিবারের মাঝে ১ সপ্তাহের ত্রাণ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

রমজান মাসকে কেন্দ্র করে নতুন উদ্যেগ গ্রহন করেছে ফেসবুক গ্রুপ নারায়ণগঞ্জস্থান। প্রায় ৪০০ নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে ১ সপ্তাহের নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য বিতরনের কর্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার রাতে মাসদাইর, গাবতলি ও ইসদাইরের বেশকিছু পরিবারের মাঝে ত্রাণ পৌছে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জস্থান গ্রুপের এডমিন এম এইচ অপু ।

জানা যায়, করোনায় ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়। লকডাউনের পর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে দিনমজুর মানুষ সহ বিভিন্ন পেশার মানুষের আয়ের উৎস। জীবন যাপন করতে হিমশিম খাচ্ছে প্রায় সকলে। বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি পাশাপাশি লকডাউনের পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের পাশে দাড়িঁয়েছেন ফেসবুক গ্রুপ নারায়ণগঞ্জস্থান।
লকডাউনের পর থেকে প্রতিনিদিন প্রায় ২ শ’ অনাহার মানুষের একবেলা খাবার পৌছে দিতেন গ্রুপের এডমিন ও সদস্যরা। এখনো এই কার্যক্রম চালু রয়েছে। পাশাপাশি আরও ১টি উদ্যেগ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বেবি ফুড বিতরন। নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য বাড়ি বাড়ি বেবি ফুড(দুধ,সুজি,চিনি) পৌছে দিয়েছেন। আর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে ৪০০ পরিবারের মাঝে ১ সপ্তাহের খাবারের ব্যবস্থা করেছে তারা। এডমিন এম এইচ অপু সোমবার রাতের আঁধারে বাড়ি বাড়ি ত্রাণ সামগ্রী বিতরনের মাধ্যমে শুরু হরে নতুন প্রজেক্ট।

বিতরন শেষে এম এইচ অপু বলেন, গ্রুপ এর প্রান শক্তি মেম্বাররা। আর সেই মেম্বারদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়ে আমরা ৩ টা প্রজেক্টে কাজ করছি। করোনা মহামারী আকার ধারন করার পর থেকেই আমাদের প্রথম কার্যক্রম শুরু করি। প্রতিদিন আমরা ২শত ভাসমান মানুষের মাঝে এক বেলার আহারের ব্যবস্থা করে আসছি। ২য় প্রজেক্টটি হলো বেবি ফুড বিতরন বাচ্চাদের জন্য খাবারের দুধ। বর্তমান অবস্থায় অনেক পরিবার অসহায় হয়ে পরেছে তাদের কাছে তাদের শিশুর জন্য দুধ কেনার টাকা নেই। তাদের বাড়িতে পৌছে দেয়া হচ্ছে বাচ্চার জন্য দুধ সহ চিনি ও সুজি। আর ৩য় প্রজেক্টটি হচ্ছে ১ সপ্তাহের খাদ্য সামগ্রী বিতরন যা গতকাল রাত থেকে রাতের আঁধারে নিম্নবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে যা পর্যায়ক্রমে ভিবিন্ন এলাকায় বিতরন শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, আমদের ৩ টা কার্যক্রমই করোনার এই মহামারী যতদিন না শেষ হবে আমরা মাঠে থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। আমরা চাইলেও মানুষকে করোনা থেকে মুক্ত করতে পারবো না কিন্তুু আমরা একটু চেষ্টা করলেই মানুষকে খুদার কষ্ট থেকে মুক্ত রাখতে পারবো। নারায়ণগঞ্জটা আমাদের। এই প্রানের শহরের মানুষের দায়িত্বটা আমাদেরই নিতে হবে। তাই আশা রাখি যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন।