সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকে দুর্গম পৃথিবীকে সুগম করে গড়ে তুলেছে শ্রমিকরা। শ্রমিকের মাথার ঘামে নিমিত হয়েছে অট্টালিকা।
শীতলক্ষা নদীর তীরে গড়ে উঠছে নারায়ণগঞ্জ জেলা। প্রাচীন কাল থেকে এখানে বিদেশী নাবিকেরা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য আসত। সেই ধারাবাহিকতায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরণের কলকারখানা।
একবিংশ শতাব্দীতে নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় থেকে বেকার যুবক, স্বামী পরিত্যক্তা মহিলারা কর্মের সন্ধানে আসে।
প্রাচীন কাল হতে শ্রমিকরা শোষিত হয়ে আসছে বর্তমানে শোষনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রমিকদের দেখার মত যে সংগঠন গুলো রয়েছে সে সংগঠনের নেতারা উদাসীন। তারা মালিক পক্ষের সাথে আপোষ করে চলছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সোনারগাঁ, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পকলকারখানা।
রূপগঞ্জ উপজেলায় গড়ে উঠেছে পোশাক কারখানা, চিনির কল, রডমিলসহ বিভিন্ন কারখানা। এসব কারখানায় নিয়োজিত রয়েছে বিপুল পরিমাণ শ্রমিক।
আড়াইহাজারে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরণের সাইজিং মিল, পোশাক কারখানা, সোনারগায়ে গড়ে উঠেছে রকমারি কলকারখানা, বন্দরে জাহাজের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের মাল লোড আনলোড় করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জ ফতুল্লায় পোশাক কারখানা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিন শ্রমিক হয়রানি হচ্ছে। শ্রমিকদের পরিশ্রম অনুযায়ী বেতন দেওয়া হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে হারে শ্রমিকদের বেতন খুবই কম।
শ্রমিকদের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত কাজ করানো হয়। নির্যাতিত করা হয় শ্রমিকদের । প্রায় সময় নারী শ্রমিকদের ধর্ষণের খবর পাওয়া যায়।
শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করলে তাদের উপর বিভিন্ন চাপ সৃষ্টিকারি গোষ্ঠি হামলা চালায়।
নারায়ণগঞ্জে শ্রমিদের অধিকার আদায়ে কগজে কলমে রয়েছে প্রায় শ্রতাধিক শ্রমিক সংগঠন। বাসদ শ্রমিক ফ্রট ব্যতিত, শ্রমিকলীগ, শ্রমিকদল, শ্রমিক পাটিসহ কোন সংগঠনকেই শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে রাজ পথে দেখা যায় না। তাদেরকে শুধু মিছিল মিটিং ও ফটোসেশনেই পাওয়া যায়।
সরেজমিনে, দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা পরিহনে চাঁদাবাজি,লোড-আনলোডে চাদাবাজি, কলকারখানার মালিকদের নিকট থেকে মোটা অংকের চাদাবাজি করে হয়ে উঠছে কোটিপতি।। শ্রমিকরা হারাচ্ছে বৃহৎ স্বার্থ। অনেক শ্রমিকরা জানেনা তাদের নেতারা তাদের জন্য কি করছে?
শ্রমিক সংগঠনের নেতারা শ্রমিকদের ঘামের টাকা দিয়ে আরাম আয়েশে চলছে। বাড়ি গাড়ি করছে। শ্রমিকরা প্রতিদিন কাজ করেও সংসার চালাতে পারছে না। তাই দিন দিন শ্রমিকরা হচ্ছে অবহেলিত,শোষিত আর শ্রমিক নেতারা হচ্ছে উজ্জিবীত।
এক জড়িপের মাধ্যমে জানা যায় শ্রমিকদের শোষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিভিন্ন কলকারখার মালিকরা শ্রমিকদের বেতন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করছে না।
শ্রমিকদের টাকা আতœসাত করে বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে কলকারখানের মালিকেরা।
কলকারখানায় কর্মরত অবস্থায় শ্রমিকরা নিহত বা আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করলে তাদের কোন ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় না।
নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ কলকারখানা গড়ে উঠেছে ঝুকিপূণূ ভাবে। শ্রমিকদের কাজ করতে হয় অনেকটা ঝুকি নিয়ে। যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।