অনলাইন ডেস্ক
আদালতের মামলা জটিলতা নিরসন হওয়ায় আরও ১২ জেলায় নিয়োগ পাচ্ছেন শিক্ষকরা। এর ফলে দেশের মোট ৩২ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জসহ ২০ জেলায় যোগাদন ও পদায়ন দেয়া হয়েছে। তবে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাকি ২৯ জেলার নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম সংবাদচর্চাকে জানান, যে’কটি জেলাতে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা যোগদান করেছেন তাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ একটি। আমাদের জেলায় নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের ইতিমধ্যেই পদায়ন দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মন্ত্রণালয় থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করায় এ পর্যন্ত মোট ৩২ জেলার নিয়োগের স্থাগিতাদেশ বাতিল করা হয়েছে। তার মধ্যে সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল ও বরগুনা জেলার স্থগিতাদেশ বতিল করা হয়েছে। বর্তমানে এসব জেলায় চূড়ান্তভাবে পাস করা প্রার্থীদের যোগদান, প্রশিক্ষণ ও পদায়নের কাজ শুরু হয়েছে। বাকি ২৯ জেলার স্থগিতাদেশ বাতিলে আপিল করা হয়েছে। আদালত থেকে স্থাগিতাদেশ দেয়ার পর এসব জেলায় যোগদান ও পদায়ন কার্যক্রম শুরু করা হবে। নিয়োগ কিংবা পদায়নের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলাতে কোন সমস্যা নেই। ইতিমধ্যেই জেলায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পদায়ন দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। গত বছর সারাদেশে প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। সবশেষে গত ২৪ ডিসেম্বর এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে ফলাফল প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এসএমআর/এসএমআর