জাহান্নামে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে ১১ ছাত্রী কে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার মাদরাসার অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে ‘বড় হুজুর’র বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা সাড়ে এগারটার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২৯ জুলাই ১০ দিনের রিমান্ড ‘বড় হুজুর’কে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত এদিন রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য রাখেন। পরে শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে ২৭ জুলাই এই বড় হুজুরকে ফতুল্লার ভূইগড় এলাকায় তার প্রতিষ্ঠিত দারুল হুদা মহিলা মাদরাসা থেকে আটক করে র্যাব-১১। এখানে তিনি তার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রীসহ বসবাস করতেন। এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত বিভিন্ন বয়সের ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন সময় ‘জাহান্নামের ভয়’ ভয় ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করতেন তিনি। সব মিলিয়ে গত তিন বছরে তার লাম্পট্যের শিকার হয়েছেন ১১ জন ছাত্রী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের কাছে তা স্বীকারও করেছেন ওই ‘বড় হুজুর’।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন জানিয়েছিলেন, আটক মোস্তাফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে এবং বিভিন্ন ভাবে তথ্যানুসন্ধানে র্যাব নিশ্চিত হয়েছে, সে গত তিন বছরে ১১ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। এরমধ্যে তার যৌন-আগ্রাসনের প্রতিবাদ করা এবং তার কথা মতো যৌনকার্যে লিপ্ত হতে না চাওয়া ও তার লাম্পট্য প্রকাশ করার কথা বলাতে, কয়েকজন ছাত্রীকে মিথ্যা অপবাদে মাদরাসা থেকেও তাড়িয়ে দিয়েছে ওই ‘বড় হুজর’।
তিনি আরও জানান, ছাত্রীদের ধর্ষণ করার ক্ষেত্রে মোস্তাফিজুর রহমান ধর্মটাকে ব্যবহার করতেন। তিনি ছাত্রীদেরকে ভয় দেখাতেন- হুজুরের কথা না শুনলে জাহান্নামে যেতে হবে, গোনাহ হবে এবং হুজুরের সাথে সহবত করা জায়েজ- এমন আরও অনেক ফতোয়া জারি করে তার সাথে যৌনকার্যে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন ছাত্রীদের।
আলেপ জানান, কথিত ওই বড় হুজুরের মাদরাসাতে তার নিকট আত্মীয়ের ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে পড়তেন। সেই মেয়েকেও তিনি ধর্ষণ করেছেন। ভুক্তভোগি ও ছাত্রীর মা-বাবার এমন অভিযোগ ছিলো। এ সম্পর্কে মোস্তাফিজুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি তা অকপটে স্বীকারও করেন।