আজ সোমবার, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ধর্ষক মাওলানা ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট : ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকার বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আল-আমিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু দমন আইনের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

রোববার (১৪ জুলাই) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন এর আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালতের বিচারক আসামীর বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত (৫ জুলাই) শুক্রবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত আসামীর বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড নেওয়ার নির্দেশ দেন।

রিমান্ড প্রাপ্ত আসামী মাওলানা আল আমিন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে। রিমান্ড শুনানীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।

প্রসঙ্গত, ২০ এর অধিক ঘটে যাওয়া স্কুল শিক্ষকের ধর্ষণের ঘটনাটি নিউজ ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে। ফেসবুকে দেখে ভুক্তভোগী তৃতীয় শ্রেনীতে পড়–য়া শিশুটি মাকে জিজ্ঞাসা করে, মা স্কুলের ওই শিক্ষকের শাস্তি হলে আমাদের হুজুরের কেন শাস্তি হবে না? আমাদের হুজুরও তো আমাদের সাথে এমন করে। পরে শিশুটি তার মাকে বিস্তারিত জানালে শিশুটির মা র‌্যাব অফিসে এসে অভিযোগ করেন যে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একাধিক ছাত্রীকে তার বাসায় পড়তে গেলে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করতো। এরপর র‌্যাব এসব অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করে। শুধু তাই নয় ২০১৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এক বছর ধরে ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর পর্যন্ত ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানিও করেছেন। এ সকল ঘটনার প্রমাণ স্বরুপ তার মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার তল্লাশী করে প্রচুর পর্নোগ্রাফী ভিডিও পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক অধ্যক্ষ আল আমিন ধর্ষণ,ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরে  ভুক্তভোগী শিশুটির মা ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে একটি ও পর্নোগ্রাফীর অভিযোগে র‌্যাব অপর একটি মামলায় দায়ের করেন।