সংবাদচর্চা রিপোর্ট
সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও ডেঙ্গু আতংকে আছে মানুষ। দেরীতে হলেও নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তবে এ নিয়ে এখনও ঘুম ভাঙ্গেনি বিএনপি নেতাদের। জেলা, মহানগর, থানা বিএনপি জেলার কোথাও ডেঙ্গু রোধে সচেতনতার জন্য মাঠে নামেন নি। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের মতো ডেঙ্গুকেও কি ভয় পায় এ দলের নেতারা।
এডিশ মশার কামড়ে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের তিনজন মারা গেছেন। রূপগঞ্জের একজন এএসপি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালগুলোতে ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন সংগঠন মাঠে নেমেছে। আওয়ামীলীগের নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি এ বিষয়ে সভা, র্যালি করে গণসচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এতদিন ইউনিয়ন পরিষদে মশা নিধনে কোন বাজেট না থাকলেও এবার ফগার মেশিন, ওষুধ দেয়া হয়েছে। সবাই যখন ডেঙ্গু নিয়ে সরব তখন বিএনপি নেতারা একেবারে চুপ করে রয়েছেন। রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ওয়ান ইলেভেনের শুরু থেকে দলটি নানা চাপে রয়েছে। তার উপর দশম সংসদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে এ দলকে শক্তিহীন করেছে। একাদশে তারা গেলেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। মাঠ পর্যায়ে দলীয় কর্মসূচীও পালনে পিছিয়ে রয়েছে বিএনপি।
যদিও তাদের দাবি, সরকারি দল ও পুলিশের কারনে তারা দাবি নিয়ে মাঠে নামতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে বিশ্লেষকদের মতামত হলো, সামাজিক কর্মসূচী নিয়ে এ দল ইচ্ছে করলে মাঠে থাকার একটা সুযোগ নিতে পারতো। এ সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে সারা দেশে হৈচৈ পড়লেও বিএনপি কেন কোন কর্মসূচী নেয়নি তা পরিস্কার নয় তাদের কাছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম জানান, দলীয়ভাবে কোন কর্মসূচী কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। তবে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সময় মতো আমারাও ডেঙ্গু রোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে মাঠে নামবো।