সাকিব আল হাসানের জন্য ম্যাচটি ছিল ‘অন্যরকম’ এক পরীক্ষা! হতাশাগ্রস্ত একটি দলকে বের করে আনতে হবে পরাজয়ের বৃত্ত থেকে। কিন্তু এমন এক ম্যাচে কিনা ‘অলরাউন্ডার’ সাকিব ব্যর্থ! ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই তাকে আটকে দিল জিম্বাবুইয়ান! তবে বড় সাকিব ব্যর্থ হলেও ‘ছোট সাকিব’ ঠিকই বাংলাদেশকে জয় এনে দিয়েছেন!
জয়ের পরই ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত ফোন পান বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। প্রধানমন্ত্রী ম্যাচ জেতানো আফিফ হোসেনের প্রশংসা করেন। পরে এই তরুণসহ দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। অনেক দিন পর জয়ের মাঝে ফেরায় জানান শুভেচ্ছা। খেলা শেষে ম্যাচ সেরা আফিফ প্রেস কনফারেন্সে সে কথা জানিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফোন করে দলকে এবং আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এসময় গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে প্রধানমন্ত্রীর ফোনের কথা সাংবাদিকদের জানিয়ে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানান, ‘আফিফের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন দিয়ে বলেছেন- ও আগে নামে নাই কেন? একে তো আগে দেখিনি। আমি জানিয়েছি, আপা ও তুলনামূলকভাবে একদম নতুন। এসেছে মাত্র, ১৯ বছর বয়স। ওর আসলে পাঁচে খেলার কথা ছিল।’
উল্লেখ্য, হতাশার বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ। এরপর আফগানিস্তানের কাছে টেস্টে বিশাল হার। বাংলাদেশের ক্রিকেটে চলছিল দুঃসময়। শুক্রবার সেই দুঃসময় আরও বাড়ারই উপক্রম হয়। শেষ পর্যন্ত আফিফ হোসেনের ব্যাটে ভর করে ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
মাত্র ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দল যখন চাপের বোঝা মাথায় নিয়ে বাইশ গজে যান, তারপর চাপকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে শুরু করেন তার সৌরভ ছড়ানো ব্যাটিং। মাত্র ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ধ্রুব। যদিও ম্যাচটি শেষ করে দিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। তবে আফিফ যখন আউট হয়েছেন তখন জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল আর মাত্র ৩ রান। মোসাদ্দেকের দায়িত্বশীলতায় দুই বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।