আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কালিরবাজারে ১২০, চাষাঢ়ায় ২০০ !

সৈয়দ মো. রিফাত, বিশেষ প্রতিবেদক
বর্ষার অন্যতম ফল লটকন। টক-মিষ্টি এই ফলের স্বাদ অনেকেরই দারুন পছন্দ। কেউ এই ফলটি খেয়ে থাকেন স্বল্প সময় পাওয়া যায় ভেবে, আবার কেউ খান শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণে। তবে যে যেভাবে সংগ্রহ করুক না কেনো তাদের এই চাহিদা কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, একই ফল কালিরবাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে অথচ, চাষাঢ়ায় ২০০!

সরেজমিনে শহরের চাষাঢ়া ও কালিরবাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। কালিরবাজার থেকে ১ কেজি ফল কিনতে লাগে ১২০ টাকা যার আকারও বড়। অন্যদিকে তার থেকে আকারে ছোট এবং স্বাদে টক লটকন চাষাঢ়া থেকে কিনতে হয়েছে ২০০ টাকা কেজিতে।
এ বিষয়ে কালিরবাজার এলাকার ফল বিক্রেতা ইসহাক মিয়া জানান, যাত্রবাড়ী থেকে কেজিতে লটকন আনতে হয় ৯০ টাকা দরে। যাতায়াত ভাড়া আনুসাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে আমরা ১০০ টাকা ধরে সর্বনিম্ন ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করি। এতে কেজিতে আমাদের ২০ টাকা থাকে। দিনভর বেচা-বিক্রি করে হাজার টাকারও উপরে লাভ থাকে।

অন্যদিকে চাষাঢ়ার ব্যবসায়ী ইমদাদ জানান ভিন্ন কথা। তার মতে, মাত্র কিছুদিন ধরে বাজারে লটকন বাজারে এসেছে বলে দামটা একটু চড়া। কিছুদিন গেলে দাম কমে আসবে বলে তিনি জানান। তাহলে কালিরবাজারে ১২০ টাকায় বিক্রি করছে কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি মুচকি হেসে বলেন, ‘ভাই তাইলে কালিরবাজারে গিয়াই কিনেন গা’।

আসছে বর্ষা। তার আগেই বাজারে চলে এসেছে মানুষের অনত্যম প্রিয় ফল লটকন। ফলটি নতুন আসায় অনেকেই এর দাম সম্পর্কে কিছু জানেন না। তাই যারা কালিরবাজার থেকে লটকন ক্রয় করছেন তারা স্বল্প মূল্যে কিনতে পারলেও চাষাঢ়া থেকে কিনে মানুষকে ঠকতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঠিকমতো বাজার মনিটরিং করা হয় না বলে সাধারণ মানুষকে ঠকতে হচ্ছে বলে মনে করছেন নগরীর সচেতন মহলের লোকজন। তাদের মতে, আগে বাজার মনিটরিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্টদের শহরে দেখা গেলেও এখন আর তাদের খোঁজ মেলেনা। যার ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেখুশী অনুযায়ী যে যার মতো করে দাম বৃদ্ধি করেছে আর ভুগতে হচ্ছে মানুষকে। তাই অনতিবিলম্বে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে বাজার মনিটরিং করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।

এসএমআর