আজ বুধবার, ১৩ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কারারক্ষী মৃদুলের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কেরানিগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী মৃদুল হাসানের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মৃদুলের পদ বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কোন পত্রিকা বলেছে পুলিশ কনস্টেবল আবার কোন পত্রিকা বলেছে কারারক্ষী।

তবে জানা গেছে, অভিযুক্ত মৃদুল হাসান কেরানিগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন কারারক্ষী। সম্প্রতি তিনি ছুটিতে রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায় বেড়াতে আসে।

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কারারক্ষী মৃদুল হাসানকে প্রধান আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।


মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে তারাবো হাটিপাড়া এলাকার থেকে স্কুলছাত্রী তার মায়ের সঙ্গে ওয়াজ শুনতে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায় তার নানা বাড়িতে আসেন। রাতে বাড়ির লোকজন পার্শ্ববর্তী ছাতিয়ান বেপারীপাড়া মসজিদের বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে যান। এ সময় ছাত্রী বাড়ির পাশ^বর্তী দোকানে গেলে কারারক্ষী মৃদুল হাসান (২৩), ওই এলাকার সোলায়মানের ছেলে নিজাম মিয়া (২৪) ও গোলবক্স মিয়ার ছেলে সিয়াম হোসেন (২২) স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। নির্জন স্থানে নিয়ে মৃদুল হাসান বাকি দুই জনের সহযোগিতায় ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ওয়াজ মাহফিল শেষে করে বাড়ি ফিরে মেয়েকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করতে থাকে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে আসামিরা পালিয়ে যায়।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রেস বলেন, ‘কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকায় স্কুলছাত্রীর ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে মামলার প্রধান আসামি মৃদুল হাসান পুলিশের সদস্য কিনা তা আমরা জানি না। এ ঘটনার অভিযুক্ত তিনজন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’