আজ শুক্রবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনা সুরক্ষা সামগ্রীতেও ভেজাল

বিশেষ প্রতিবেদকঃ 

দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে বেড়েছে জীবাণুনাশক সামগ্রীর ব্যবহার। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এসব সামগ্রী বাজারে বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। দেশীয় কোম্পানিগুলো হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় বাজারে ছড়িয়ে পরেছে নকল সুরক্ষা পন্যে। আসল হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অবিকল বোতল সংগ্রহ করে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার করছে অসাধু মুনাফালোভীরা।

মঙ্গলবার চাষাঢ়া শহীদ মিনারের পাশে গিয়ে দেখা যায় ফুটপাতে চলছে নকল স্যানিটাইজার বিক্রির রমরমা ব্যবসা। প্রায় দেখতে অবিকল স্যানিটাইজারের মত রঙ্গিন তরল পদার্থ বিক্রি হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বলে। এসবের গায়ে নেই কোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লোগো। শুধুমাত্র বোতলে ভরেই বিক্রি করা হচ্ছে জনসাধারনের কাছে।

বিক্রেতারা বলছেন, স্থানীয়ভাবে তৈরী করা এসকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনে এনে এখানে বিক্রি করা হচ্ছে। বড় বড় কোম্পানির পন্য কিনে আনলে সেসব মানুষ এখান থেকে কিনতে রাজি হবে না। তাই বাধ্য হয়েই কমদামী এসকল পন্য বিক্রি করতে হয় সাধারন মানুষের কাছে। মানুষ জেনে বুঝেই কিনে নিয়ে যায় এসকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

রসায়নবিদদের মতে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, অ্যালোভেরা অয়েল, গ্লিসারিনসহ নানা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। মানবত্বকের সহনশীল মাত্রা অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করতে হয়। কোন কারনে উপকরনের মাত্রা কমবেশি হলে ব্যবহারকারীর ত্বকের ক্ষতি হবে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকায় এই ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য শরীরের ব্যবহারের ফলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। নকল পণ্য ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত হতে গিয়ে উল্টো ত্বকের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি শরীরে চর্মরোগের বিস্তার ঘটাতে পারে।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আবদুল হাই বলেন, নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলো বেশিরভাগই  ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ ভাভে বিক্রি হচ্ছে। আমরা এদের দেখতে পেলেই দ্রুত সরিয়ে দেই বা এরাই আগে পালিয়ে যায়। আমরা ধরতে পারলে সেখানে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে। তবে এসব পন্য যেখানে উৎপাদন করা হয় সেখানে  স্থায়ীভাবে বন্ধে প্রশাসনের অভিযান চালাবে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, নকল পণ্যগুলো একটু খেয়াল করলেই চিনতে পারবেন ক্রেতারা। তাই ক্রেতাদের সচেতন হতে হবে। ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার না কিনে বিশস্ত দোকানগুলো থেকে কিনতে হবে। সেখানে নকল পণ্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।