অনলাইন রিপোর্ট
ভারতে ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে ‘ভুয়া খবর’ ছড়ানো বন্ধে তৎপরতা শুরু করেছে ফেসবুক। সোমবার (১ এপ্রিল) কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত ৬৮৭টি পেজ ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। এদিকে ভারতীয় সেনাদের ‘মোদির সেনা’ বলায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এর মধ্যে বিরোধী দল হিন্দু অধ্যুষিত আসনে প্রার্থী দিতে ভয় পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারতের আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে যখন বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে দলগুলো ঠিক তখনি ‘ভুয়া খবর’ প্রচারের অভিযোগে বিরোধী দল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকশ অ্যাকাউন্ট ও পেইজ বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। সোমবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনাকর পোস্ট ছড়ানোয় এমন পদক্ষেপ।
ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শঙ্কর বলেন, কংগ্রেস ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে নানা মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। আর তার ফল হিসেবে ফেসবুক এই ব্যবস্থা নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
এক টুইট বার্তায় এ খবর অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। নিজেদের কোন অফিশিয়াল পেইজ বা ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়নি বলে দাবি করেছে দলটি।
এদিকে মহারাষ্ট্রের এক নির্বাচনী সভায় কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, শান্তিপ্রিয় হিন্দুদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে অপমান করা হচ্ছে। ভারতবাসী তাদেরকে কখনো ক্ষমা করবে না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়। তাদের সন্ত্রাসী বলে অপমান করেছে কংগ্রেস। সাধারণ মানুষ তাদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ওই দলের নেতারা হিন্দুপ্রধান কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে ভয় পাচ্ছেন।
এর মধ্যে ভারতীয় সেনাদের ‘মোদির সেনা’ বলায় চরম বিতর্কের মুখে পড়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার এ মন্তব্য ভারতীয় সৈনিকদের অপমান বলে মত দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এ ধরনের মন্তব্যের জন্য যোগীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছে কংগ্রেস।