অনলাইন রিপোর্ট:
মসুলমানদের রমজান উপলক্ষে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী আগামী বুধবার আয়োজন করেছেন ইফতার পার্টির। এই ইফতার পার্টিতে উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলের নেতারা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন, এই ইফতার পার্টির মাধ্যমে কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইছে বিরোধী দলের মধ্যে ঐক্যের ঝালাই দিতে।
ভারতীয় সংসদ লোকসভার নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে হওয়ার কথা। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এবং সংখ্যালঘু ভোট পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে ভারতের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল। বসে নেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। নিয়মিত ইফতার পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকছেন রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজিত ইফতার পার্টিতে।
বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসার পর সরকারিভাবে কোনো ইফতার পার্টি দেন না। রাষ্ট্রপতির দেওয়া ইফতার পার্টিতেও তিনি ছিলেন গরহাজির। গত বছর ২৫ জুলাই ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি হন রামনাথ কোবিন্দ। এবার তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জনগণের করের টাকায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান না করার। তবে এর আগে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রতিবছরই ইফতার পার্টির আয়োজন করতেন। ২০১৫ সালে কংগ্রেসও আয়োজন করেছিল এই ইফতার পার্টির।
দুবছর বাদে কংগ্রেস ফের আয়োজন করছে এই ইফতার পার্টির। কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের প্রধান নাদিম জাভেদ জানিয়েছেন, ১৩ জুন দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলে কংগ্রেস আয়োজন করছে এই ইফতার পার্টির। এর লক্ষ্য সংখ্যালঘুদের মন জয় করা। নরেন্দ্র মোদি যখন ইফতার পার্টি দিচ্ছেন না, তখন রাহুল গান্ধীর এই পদক্ষেপ সংখ্যালঘুদের নতুন বার্তা দেবে বলে মনে করছে কংগ্রেস।