নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘটনার পর প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নিহত গৃহবধূ লিপি আক্তারের নিখোঁজ দুই সন্তান এখনও উদ্ধার হয়নি। কি হয়েছে তাদের সাথে তাও কেউ বলতে পারছে না। বড় ছেলে শাকিব (১২) ছোট সন্তান রাকিব (৯) ওইরাতে মায়ের পাশেই ঘুমিয়ে ছিলেন। এদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোাগ, ১৮ নভেম্বর নিহতের ছোট বোন শাহীনুরকে (০১৮২২-৮৩৮-৪৫১) একটি মোবাইল থেকে কল করে প্রাণনাশের হুকমী দিয়েছে। এসময় নিহতের পলাতক স্বামী রফিকুল ওরফে লাল মোবাইলে বলেন, ‘যদি তোর ভাই বা অন্য কেউ আমার বিরুদ্ধে মামলা করিস, তাহলে তোদের দুই ভাগিনাকে হত্যা করে উল্টো তোদের বিরুদ্ধেই আমি হত্যা মামলা করে ফাঁসিয়ে দেব।’
নিহতের ভাই শাহলম মিয়া জানান, ঘটনার দিন রাতে লিপিকে তিনবার বেধড়ক মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে ভোরে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে স্থানীয় কয়েকজন নারী তার মাথায় পানি ঢেলে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তিনি আরও জানান,একই সময়ে স্থানীয় হানিফা নামে এক পল্লী চিকিৎসককেও ডেকে আনা হয়। পরে রফিকুল দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এখন মামলা না করতে হুকমী ধমকী দেওয়া হচ্ছে। লিপির দুই সন্তানের কোন হদিস নেই।
আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা। তবে তার নিখোঁজ দুই সন্তানকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত. চলতি বছরের অক্টোবর ২তারিখে স্থানীয় চৈতনকান্দা পূর্বপাড়া এলাকায় হত্যাকান্ডের এই ঘটনা ঘটে। ১৫ বছর আগে নরসিংদী জেলার মাধবদী থানাধীন শিমুলের এলাকার আবুল কাসেমের মেয়ের সঙ্গে আড়াইহাজারের চৈতনকান্দা পূর্বপাড়া এলাকার মৃত সামছুল হকের ছেলে রফিকুলের বিয়ে হয়। রফিকুল নারায়ণঞ্জের সোনারগাও এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল।