আজ শনিবার, ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আইভীর কাছে হেরে গেলেন ওসমান ভ্রাতৃদ্বয়

রাজনৈতিক প্রতিবেদক
গিয়েছিলেন নিজ পিতা আলী আহম্মদ চুনকার কবর জিয়ারত করতে। পাশে ছিল ওসমান পরিবারের প্রয়াতদের কবর। তাদের কবরও জিয়ারত করতে ভুল করেননি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। সম্প্রতি ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক একেএম সামসুজ্জোহার মৃত্যুবার্ষিকীতে কবর জিয়ারত করতে যাওয়া ওসমান বলয় পৌর পিতা চুনকার কবর জিয়ারত করেননি।

গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি পৌরপিতা প্রয়াত আলী আহম্মদ চুনকার ৩৬তম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত হন সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। পরে কবরস্থানে গিয়ে তার পিতার কবর জিয়ারতের পাশাপাশি ভাষা সৈনিক খান সাহেব ওসমান আলী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক একেএম শামসুজ্জোহা, রত্মগর্ভা ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহা ও সাবেক এমপি একেএম নাসিম ওসমানের কবর জিয়ারত করার পাশাপাশি সেখানে গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দেন মেয়র। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন তার দুই ভাই, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবদুল কাদির সহ অনেকে।

অন্যদিকে ২০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত (মরোণত্তর) একেএম শামসুজ্জোহার ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে সেদিন সকাল থেকেই ফতুল্লার মাসদাইর কবরস্থানে শামসুজ্জোহার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এমপি শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান, আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অথচ তার পাশে থাকা পৌর পিতা চুনকার কবর জিয়ারত করতে দেখা যায়নি তাদের ও তাদের অনুসারীদের।
এ নিয়ে শহরজুড়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। নগরবাসীর মতে, পারিবারিক বিরোধ মানুষের মধ্যে থাকতেই পারে। তাই বলে সেই ক্ষোভ প্রয়াতদের উপরে দেখানো মোটেই কোন প্রকৃত রাজনীতিকের কাজ হতে পারে না। নিজেদের মধ্যে সু-সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও মেয়র আইভী যে উদারতা দেখিয়েছেন তা নিঃসন্দেহে সুন্দর মনের বহিঃপ্রকাশ।