সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে। সমিতির ১৭ পদের বিপরীতে একজন সদস্য ছাড়া বাকি ১৬ পদেই জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগপন্থী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীরা।
সভাপতি পদে এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল পেয়েছেন ৫৫৭ ভোট,তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির এড. সরকার হুমায়ূন কবির পেয়েছেন ১৮২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে এড. মো. মোহসিন মিয়া পেয়েছেন ৪৯৫ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির এড. আবুল কালাম আজাদ জাকির পেয়েছেন ২৩৯ ভোট।
২৪ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জেলা জজ আদালতের কনফারেন্স রুমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৯২৬জন ভোটারের মধ্যে ৯১০জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বিকেল ৫টা থেকে শুরু হয় ভোটগণনা। এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্যানেলের ১৭ জন ও বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে ১৬ জন প্রতিদ্ব›দ্বীতা করেন। বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী ঐক্যফ্রন্ট প্যানেলে বিজয়ী হয়েছেন কার্যকরী সদস্য পদে আহসান হাবীব।
গত নির্বাচনে বিএনপি ১১ টি পদে বিজয়ী হয়ে ছিলো।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে যারা এবার লড়েছেন সভাপতি পদে এড. সরকার হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে এড. রেজাউল করিম রেজা, সহ-সভাপতি এড. গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক পদে এড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, যুগ্ম সম্পাদক এড. শাহীদুর ইসলাম টিটু, কোষাধ্যক্ষ পদে এড. নজরুল ইসলাম মাসুম, আপ্যায়ণ সম্পাদক এড. কায়সার আলম চৌধুরী টুটুল, লাইব্রেরী সম্পাদক শারমীন আক্তার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে শেখ আনজুম আহম্মেদ রিফাত, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এড. রাসেল প্রধান, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আছমা হেলেন বিথি, আইন ও মানবাধীকার সম্পাদক এড. রোকনউদ্দিন, কার্যকরী সদস্য পদে এড. আহসান হাবিব ভূইয়া, এড. সারোয়ার জাহান, এড. আমিনুল ইসলাম ও এড. ফজলুর রহমান ফাহিম।
বিএনপির পরাজয়ের কারণ হিসেবে জানা গেছে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে আদালতপাড়ায় নিজেদেরকে চাঙ্গা করার সুযোগ পেয়েও সে সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিপরীতে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ঠিকই সুযোগের ব্যবহার করেছেন। প্রচারণা প্রচারণায় বিএনপির নেতাকর্মীরা নিরব থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা প্রায় প্রতিনিয়তই নারায়ণগঞ্জ আদালপাড়ায় প্রচারণা চালিয়েছেন।
বিএনপি দলীয় সূত্র বলছে, সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার ভোটের দিনও নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সিনিয়র পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় দেখা মিলেনি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে দেখা গেলেও তার ভূমিকা ছিল অনেকটা দায়সাড়ার মতো। একই সাথে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার শুরু থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত জেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারী কাউকেই দেখা যায়নি।
তবে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ঠিক থেমে থাকেননি। একেবারে জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে নি¤œ পর্যায় পর্যন্ত এমনকি বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও প্রায় প্রতিনিয়তই নিজ দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার প্রচারণায় নিজেদের সরব রেখেছেন।