সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
প্রতিদিনই বাড়ছে আতঙ্ক। প্রায় এক মাস বন্ধ হয়ে আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। সাধারণ ছুটির কারণে চলাফেরাতেও রয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। এসবের মধ্যে একপ্রকার গৃহবন্দি শিশুরা। বারান্দার গ্রিল ধরে এক চিলতে আকাশ দেখাটাই তাদের জন্য এখন বাইরে যাওয়া!
প্রকৃতি এখন দারুণ সাজে সেজেছে। বসন্তের বিদায়বেলায় গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা। ফাঁকা সড়কের ইতিউতিতে নতুন নতুন ফুলও ফুটেছে। কিন্তু এ ফুল দেখে যারা সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত হয়, সেই শিশুরাই এখন চার দেয়ালে বন্দি।
করোনা আতঙ্কে বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠের সবুজ ঘাস অপেক্ষায় রয়েছে সঙ্গীদের। সেই সঙ্গীরা যে এখন ঘরে বসে টিভি দেখে, ইউটিউব দেখে আর বাবা-মায়ের কাছে গল্প গুনে দিন পার করছে।
এক মাস হয়ে যাচ্ছে এমন। এতে প্রায় অস্থির হয়ে উঠছে শিশুরা। বাবা-মায়ের কাছে বাড়ছে বাইরে নিয়ে যাওয়ার আবদার। কিন্তু নানা কথায় ভুলিয়ে শিশুকে নিয়ে ঘরের মধ্যেই কখনও ক্রিকেট, কখনও ফুটবল খেলছেন বাবা-মায়েরা। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রিয়জনদের সঙ্গে কথাও বলিয়ে দিচ্ছেন অনেকে।
চার দেয়ালে বন্দি থেকে শিশুরা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন নারায়ণগঞ্জ ২ নং বাবুরাইল এলাকার বাসিন্দা সোনিয়া মাহমুদ ।তিনি আরো বলেন
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে দেশের সব স্কুল এখন বন্ধ। বাচ্চারা এখন কী করবে আর কী করবে না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। সন্তানকে বাইরে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে পাঠাবেন কি না, তা বুঝতে পারছি না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাতে বদ্ধঘরেই খেলাধুলা করাটা এখন ভাল মনে করছি।