নিজস্ব প্রতিবেদক:
চিত্রনায়ক জায়েদ খান শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন এবং তার কাজে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে হাইকোর্টের আদেশের পর জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
এছাড়াও শিল্পী সমিতির নির্বাচন পরবর্তী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেয়া চিঠির কার্যকারিতা এবং নির্বাচনী আপিল বোর্ড কর্তৃক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তও স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী।
প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, আহসানুল করিম , যুবলীগ চেয়ারম্যানের স্ত্রী এড. নাহিদ সুলতানা যুথি। নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে শনিবার ভোরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন এফডিসিতে ফলাফল ঘোষণা করেন। তাতে গত দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির সভাপতি থাকা মিশা সওদাগরকে ৪৩ ভোটে হারিয়ে এবার সভাপতি হন ইলিয়াস কাঞ্চন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারেন ইলিয়াস কাঞ্চনের প্যানেলের প্রার্থী নিপুণ আক্তার।
তবে অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন নিপুণ। সে আবেদনে প্রেক্ষাপটে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক জায়েদ খান ও চুন্নুর বিষয়ে বৈঠকে বসে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপিল বোর্ড।
বৈঠকে শেষে বোর্ডের প্রধান চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল বলে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেন। রোববার ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুন পরিষদের বিজয়ীরা শপথ নেন।