আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলকে পপির সমর্থন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকাই সিনেমার নন্দিত অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি। প্রায় দেড় বছর আড়ালে ছিলেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এ তারকা। এই সময়ে তাঁর বিয়ে করার গুঞ্জনের সঙ্গে সন্তানের মা হওয়ার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন এই নায়িকা। আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছেন, জানিয়েছেন নিজের আড়ালে থাকার কারণও।

এবারের নির্বাচনে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ আক্তার প্যানেলকে সমর্থন জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা পপি।
পপি বলেন, ‘ভেবেছিলাম আর কখনও ক্যামেরার সামনে আসব না। কিন্তু একজন শিল্পী হিসেবে নিজের কিছু দায়বদ্ধতা থেকে আজকে কিছু কথা না বললেই না। দীর্ঘ ২৬ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক সুনামের সাথে কাজ করার চেষ্টা করেছি… বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করার জন্য অনেক কাজ করেছি। তিন-তিন বার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি।’

পপির কথায়, ‘আজকে অনেক কষ্ট নিয়ে কথাগুলো বলা। আজ আমি কোথায়। আমি আছি। আমি আছি আপনাদের সকলের মাঝে। হয়তো ভাগ্যে থাকলে আবার ফিরব কাজে। তবে যে কথাটা বলতে চেয়েছিলাম, সেটি হচ্ছে- বর্তমান শিল্পী সমিতির একটি মাত্র ব্যক্তির কারণে। তার পলিটিক্স, তার নোংরামি এবং অনেক রকম অপকর্মে অসহযোগিতার কারণে আমাকে বার বার অপমানিত হতে হয়েছে। শুধু আমি না, আমাদের মতো রিয়াজ, ফেরদৌস, পূর্ণিমা, নিপুণ, আমাদের সকলকে ব্যবহার করে আমাদের কাঁধে বন্দুক রেখে যে এই চেয়ারটিতে বসেছে; সে বিভিন্ন রকম অপকর্ম করার চেষ্টা করেছে, যেখানে আমি সায় দিইনি বা আমরা সায় দিইনি।’
বলেন, ‘আজকে আমি ভিকটিম। আমাকে অনেক অপমানিত হতে হয়েছে। আমার মতো শিল্পী, যে তিন-তিন বার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি, আমার মতো শিল্পীকে সদস্যপদ বাতিলের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। একটা শিল্পীর জন্য এত বছর কাজ করার পর কতটুকু অপমানের, সেটা আমি বুঝতে পারি। বা আমার মতো শিল্পীরা, যারা ভিকটিম হয়েছে, ১৮৪ জন শিল্পী, যারা ভিকটিম হয়েছে, তারা হয়তো আমার কষ্টটা বুঝতে পারবে। বা আমিও তাদের কষ্টটা বুঝতে পারি।’

তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এই নোংরামির কারণে আমি আমার মানসম্মান নিয়ে থাকার জন্য বা আমার জানের ভয় ছিল, সবকিছু মিলিয়ে আমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি চলচ্চিত্র থেকে।’

পপির প্রতিশ্রুতি, ‘যদি কখনও পরিবেশ ভালো হয়, এই নোংরা মানুষ বা মানুষগুলো সরে যায় ইন্ডাস্ট্রি থেকে, তখন আবার কাজ করব।’

চলচ্চিত্রশিল্পকে বাঁচানোর জন্য কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান পপি।