আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চালককে পিটিয়ে গাড়ীর কাগজ-টাকা ছিনতাই

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আসমানি পরিবহন মিনিবাসের ড্রাইভারকে পিটিয়ে বাসে ছিনতাইয়ের পৃথক তিনটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনপুর এলাকার বারাকা হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে আসমানি পরিবহন ঢাকা মেট্টো ব-১৪-৯৫০৩ মিনিবাসের চালক সুমন (২৬) বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সমুন ডেমড়া এলাকার আবু তালেবের ছেলে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগটি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বন্দর থানার ওসি। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন এস আই সিরাজ – উদ-দৌলা। চালক সুমনের অভিযোগ, আব্দুল্লাহপুর থেকে আসার পথে মদনপুর বারাকা হাসপাতালের সামনে থেকে সুমনকে এলোপাথারি কিল -ঘুষি মেরে গলায় ধারালো দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে গাড়ির মূল্যবান কাগজপত্র ও নয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় সোনারগাঁয়ের সোনাখালী এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে সেন্টু (৪০)। এসময় সেন্টুর (৪০) সাথে আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জন ছিলো। সেন্টুর (৪০) বিরুদ্ধে একই অভিযোগ দিয়েছেন আসমানি পরিবহন ঢাকা মেট্টো-ব ১৫-২৮২৭ মিনিবাসের চালক শিশির (৩৩)। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় একই স্থান থেকে আটকিয়ে এলোপাথারি কিল -ঘুষি মেরে গলায় ধারালো দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে গাড়ির মূল্যবান কাগজপত্র ও দশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সেন্টু (৪০) আসমানি পরিবহন ঢাকা মেট্টো-ব ১৫-৪৭৫৪ মিনিবাসের চালক শেখর (৫০) কে পিটিয়ে তার গাড়ির মূল্যবান কাগজপত্র ও ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় সেন্টুর (৪০) সাথে আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জন ছিলো।
এব্যাপারে বৃহস্পতিবার ( ১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানার ওসি দীপক কুন্ড সাহা সংবাদচর্চাকে বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এছাড়া ঢাকা জেলা সড়ক সড়ক পরিবহন আঞ্চলিক শ্রমিক কমিটির এক নেতা সংবাদচর্চাকে বলেন, মিতালী পরিবহন, আসমানী, হবিগঞ্জের বিসমিল্লাহ পরিবহন, কিশোরগঞ্জের যাতায়াত পরিবহন, কিশোরগঞ্জ অনন্যা পরিবহন, ভৈরব এক্সপ্রেস পরিবহন , মেঘনা পরিবহন মুক্তিযোদ্ধা পরিবহন এবং উত্তরবঙ্গ থেকে যেসব গাড়ি আমাদের নারায়ণগঞ্জে চলে সেন্টু ডাকাত দীর্ঘদিন যাবৎ প্রত্যেকটা গাড়ি থেকে সে যাত্রী এবং চালকদের কাছ থেকে টাকা,গাড়ীর কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। প্রতিদিন ভোর পাঁচটার দিকে সে ঐসব গাড়িতে উঠে তার সাথে আরও ৪৫ জন থাকে। মালিকরা গাড়ির কাগজ চাইলে সে বলে গাড়ির কাগজ নিতে হলে টাকা দিতে হবে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গাড়ির মালিক, চালক ও যাত্রীরা সেন্টুর অত্যাচার থেকে মুক্তি চায়। প্রশাসনের কাছে আমরা দ্রুত সেন্টুর গ্রেফতার চাই।